কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামির উপস্থিতিতে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল রায় ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভ সড়কের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে ওই হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার আগে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী জবানবন্দি দিয়েছেন যে—সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন ওসি প্রদীপ। সিনহার হাতে পিস্তল আছে ভেবে গুলি করেন তিনি। ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে এসে সিনহার বুকের বাঁ পাশে লাথি মারেন। এতে সিনহা নিস্তেজ হয়ে যান।
বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতের জবানবন্দির কথা উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লিয়াকত আগে থেকেই নন্দুলালকে বলেন, (সিনহাকে বহনকারী) সিলভার কালারের গাড়ি থামাতে হবে। (চেকপোস্টে) সিনহার দুই হাত উঁচু ছিল। সেসময় লিয়াকত গুলি করেন। ঘটনাস্থলে প্রদীপ আসার পর সিনহার উদ্দেশে বলেন, ‘অনেক কষ্টের পরে তোরে পাইছি’। এই বলেই বুকে লাথি মারেন। লিয়াকত বলেছেন, ওসি প্রদীপের ভয়ে জব্দ তালিকা তৈরি করেছেন। তিনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই তৈরি করেছেন জব্দ তালিকা।
হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে লিয়াকত ও নন্দুলাল সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, এটা প্রমাণিত বলেও পর্যবেক্ষণে বলেন আদালত।