অস্বাভাবিক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেনদেনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থিতি হোল্ড হওয়া ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের মধ্য থেকে কয়েক দফায় আরও সাড়ে পাঁচ হাজারের অ্যাকাউন্ট স্থিতি পুনঃসচল করেছে ‘নগদ’ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে পুনরায় সচল হওয়া অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেলো।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফা নিরবচ্ছিন্ন যাচাই-বাছাই ও নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে অ্যাকাউন্টগুলো পুনরায় সচল করা হচ্ছে।
একইভাবে অল্প সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের দেওয়া তথ্য মার্চেন্টের সঙ্গে ক্রস-ভ্যারিফিকেশনের মাধ্যমে সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে বাকি অ্যাকাউন্টগুলোর স্থিতি পুনঃসচল করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সংশ্লিষ্ট অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেনদেনের লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে গ্রাহকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের জন্য ‘নগদ’র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বলে কিছু অ্যাকাউন্টের স্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হোল্ড হয়ে যায়।
অনতিবিলম্বে ‘নগদ’ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলমান আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই ও নিরবচ্ছিন্ন নিরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে পুনঃসচল হতে শুরু করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থিতি হোল্ড হওয়া অ্যাকাউন্টগুলো।
ইতোমধ্যে পুনরায় চালু হওয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে আগের মতোই স্বাভাবিক নিয়মে সব ধরনের লেনদেন করাসহ ‘নগদ’র দারুণ সব সেবা উপভোগ করতে পারছেন গ্রাহকরা। ‘নগদ’ সব সময়ই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে। মানুষের অর্থ যাতে বিন্দুমাত্র ঝুঁকিতে না পড়ে, সে বিষয়ে ‘নগদ’ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ উদ্বোধনের পর থেকে ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিংসেবা ‘নগদ’ সাধারণ মানুষের লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে কাজ করছে। গত আড়াই বছরে ‘নগদ’ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি গ্রাহক পেয়েছে। একই সঙ্গে নগদে দৈনিক লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।