দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে আমন ধানের ক্ষেত, বীজতলা, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম আংশিক তলিয়ে গেছে। বুধবার রাতে পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির চাপে সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশের এক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর, ঘনিয়ামোড়া ও কিসমত ঘনিয়ামোড়া গ্রামের কিছু অংশ তলিয়ে গেছে।
কুষ্টিয়ায় আবার ভাঙছে শেখ রাসেল-হরিপুর সেতু রক্ষা বাঁধ। এতে করে নতুন করে বাঁধের ৩০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন শুরু হওয়ায় ফের আতঙ্ক বিরাজ করছে বাসিন্দাদের মাঝে। মিরপুর উপজেলার রানাখড়িয়ায় পদ্মার ভাঙন তীব্র হচ্ছে। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক। বালির বস্তা ফেলেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।
সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে যমুনা। একই সঙ্গে বাড়ছে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। ফলে যমুনা নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার বসত-বাড়ি, ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে। নদ-নদী অববাহিকার বেশ কিছু জমির আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে আছে।
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হয়েছে। ধরলা, তিস্তা, দুধকুমোরসহ অন্যান্য নদীর পানি বাড়ছে। শতাধিক চরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
পদ্মার পানি বাড়ায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বেশ কয়েঢকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, ফরিদপুরে পদ্মার পানি কমলেও জেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শতশত বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়ি ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নীচ মানবেতর জীবন যাপন করছে।