মঙ্গলবার , ১১ নভেম্বর ২০২৫ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

মধ্যরাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

প্রতিবেদক
Probashbd News
নভেম্বর ১১, ২০২৫ ১২:২১ অপরাহ্ণ

আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ ও আজ ১১ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের মহাসমাবেশের বিষয়টি সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। নাশকতা রোধে দেশের আটটি বিভাগে ১৪২টি স্থানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এই সতর্ক অবস্থার মধ্যেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বেতার ভবনের সামনে পর পর দুটিসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সকালে ও রাতে তিনটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত রবিবার রাজধানীতে ছয়টি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গতকাল নাশকতার ঘটনা ঘটে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা, শাহজাদপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি ও মিরপুর এলাকায়। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার গ্রামীণ ব্যাংক ও একজন উপদেষ্টার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশেও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে।

মিরপুর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ রোমান বলেন, ভোর পৌনে ৪টায় মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের সড়কে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে মেরুল বাড্ডার আরমা মাজেদা মালিক টাওয়ারের সামনে আকাশ পরিবহনের বাসে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

একই সময় শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের আরো একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বাসগুলো জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমণ্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে একটি বাসে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার পর আমাদের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা যায়, কিছু লোক বাসটির আশপাশ দিয়ে চলাচল করছিল।

হঠাত্ করেই বাসটিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’
পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আগারগাঁওয়ে বেতার ভবনের কাছে পর পর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সকাল ৭টায় ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দুটি ও রাপা প্লাজার বিপরীত পাশে মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানান ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি কাজী রফিক জানান, সকাল সোয়া ৭টায় মোহাম্মদপুর স্যার সৈয়দ রোডে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রবর্তনার ভেতরে এবং তার সামনে রাস্তার ওপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিষ্ঠানটির কেয়ারটেকার ও আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে তাঁরা থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোটরসাইকেলে চড়ে দুই ব্যক্তি এই ককটেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপর আরেকটি ককটেল বিস্ফোরণের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, পর পর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি। মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের ফুট ওভারব্রিজের ওপর থেকে কেউ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

খুলনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা : খুলনার ফরাজিপাড়া থেকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গত রবিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা দীপ পাণ্ডেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরের গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তৈমুর ইসলাম জানান, ১৩ নভেম্বর নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছিলেন দীপ। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। দীপ খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশীদের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। গতকাল রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সরকারি স্থাপনা, দলীয় কার্যালয় ও পরিবহন টার্মিনালে পুলিশের তত্পরতা দেখা গেছে। ঢাকার প্রবেশপথগুলোয় চেকপোস্টে তল্লাশিও চলে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের চলাচল, যোগাযোগ ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বার্তাগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।

নাশকতা রোধে ১৪২টি স্থানে নজরদারি : নাশকতা ও সহিংসতা রোধে শহরের আট বিভাগে ১৪২টি স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শহরের প্রতিটি প্রবেশমুখে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের চলাচল নজরদারির আওতায় থাকবে। যেকোনো ধরনের অরাজকতা ও সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত। জানা যায়, রমনা বিভাগে সর্বাধিক ৩৪টি, মিরপুরে ১৪টি, ওয়ারীতে ১৬টি, মতিঝিলে ১৭টি, লালবাগে ১৫টি, উত্তরায় ১৬টি, গুলশানে ১৪টি এবং তেজগাঁওয়ে ১৬টি পয়েন্টে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। শাহবাগ মোড়, সচিবালয় লিংক রোড, প্রেস ক্লাব, হাইকোর্ট মোড়, বাংলামোটর, ধানমণ্ডি ৩২, মিনাবাজার, রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ, রাসেল স্কয়ার, বাটা সিগনাল, জিরো পয়েন্ট, কাকরাইল মোড় এবং টিএসসি এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

ডিএমপি সূত্র জানায়, শনিবার রাজধানীর আট বিভাগে একযোগে ‘অনগার্ড মোবিলাইজেশন ড্রিল’ পরিচালনা করেছে পুলিশ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’, সচিবালয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, সংসদ ভবন, হাইকোর্ট, বঙ্গভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর পুলিশ ও ডিবির টিমের বাড়তি তত্পরতা থাকবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ এরই মধ্যে র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করেছে।

সর্বশেষ - সাহিত্য

Translate »