দেশ ছেড়ে আমেরিকা পালিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম। সপ্তাহখানেক আগেই তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
ঐ সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার অবৈধ সম্পত্তির বিষয়ে খবর প্রকাশ হলে দেশব্যাপী দুর্নীতিবাজদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এজন্য নিজের নিরাপত্তার জন্য জাহাঙ্গীর আলম দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
এর আগে, গতকাল রোববার জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী কামরুন নাহারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য, রোববার চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাসায় কাজ করে গেছে পিয়ন, হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। জানতে পেরে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। যদিও সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ঐ পিয়নের নাম বলেননি।
এরপর এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সেই পিয়নের নাম জাহাঙ্গীর আলম। তাকে নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল এবং প্রধানমন্ত্রীর টানা তৃতীয় মেয়াদেরও কিছু সময় শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ব্যাগ বহন করতেন, প্রধানমন্ত্রীর খাবার সামনে এগিয়ে দিতেন এবং অন্যান্য কাজ করতেন। প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলে ছিলেন, তখন থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
জাহাঙ্গীর নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের নাহারখিল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এর আগে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।