রেমিটেন্স এর ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে আছে বাংলার অর্থনীতি তার একটি উদাহরণ দিলে আপনারা পরিষ্কার হতে পারবেন; যে সময় তত্ত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল বিশ্বের বাঘা বাঘা ও শক্তিশালী অথনৈতিক পরাশক্তিরা যখন ধরাশায়ী ও নাজুক অবস্থায় পড়ে কুপোকাত তখন বাংলাদেশ ছিল অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে ভালো অবস্থানে । তার মুল কারণ ছিল মুলত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স । সারা বিশ্বে যখন অর্থনৈতিক মন্দার কারণে নাজেহাল অবস্থা চলছিল এবং দেশেরও খুবই দুঃসময় ছিল তখন পাশে ছিল প্রবাসীরা। ঐ সময় যদিও কৃষি ও গার্মেন্ট সেক্টরেরও বিশেষ অবদান ছিল । তবে বাংলাদেশে প্রবাসীদের অবদান ছিল অতুলনীয় ও সর্বাগ্রে। অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যতে সবকালে তাঁদের অবদান ছিল,আছে এবং থাকবে । তারা কারো ক্ষতি করছে না । প্রবাসীরা সম্পুন্ন হালাল ও বৈধ পথে শরীরের রক্ত নিংড়ানো শ্রমের বিনিময়ে এমন কি জীবন দিয়ে দেশের অথনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে । দেশের বাহিরে থাকলেও মনটা পড়ে থাকে তাদের এ দেশে । যতই মান অভিমান বা রাগ ক্ষোভ থাকুক না কেন । কেন এবং কি কারণে তাঁদের প্রতি এত অবহেলা ও অবমাননা ? বাংলাদেশের সবচাইতে বড় শত্রু ঘুষ ও দুনীতির । প্রবাসীরা এসবের সাথে যুক্ত নয় । দেশের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব । প্রবাসীরা বিদেশে যাওয়ার সময় কতটা বাধা বিপত্তি অতিক্রম সংগ্রাম করতে হয় কম বেশী সকলেই জানেন । টিআইবি তার রিপোর্টে দুর্নীতি বিষয়ে সবিস্তারে লিখেছিল তখন জানা যায় বিদেশের ব্যাপারটা । আর যারা বাংলাদেশের সকল দুর্নীতির হোতা গডফাদার ও সার্বিক ক্ষতিকর কীটস্বরুপ জীবানু ভাইরাস—– ঐ মন্ত্রী ও এমপিরা কত জামাই আদরে সুখে শান্তিতে রাজার হালতে আছেন ।আর জনগন যেন চাকর বান্দী ! সৃষ্টিকর্তা উনাদের ‘’আলাদীনের চেঁরাগ’ দিয়েছেন ! কত ফকিন্নি মার্কা ব্যক্তি এ চেরাগের বদৌলতে যে হাজর কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন কে জানে ? কত অসৎ ও অন্যায় কাজ করে অর্থ স্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। এটা এক ধরনের ডাকাতি ,দস্যুতা ,বর্বরতা, কঠিন শাসন ও শোষন ! আমাদের দেশের প্রতিবেশী ও অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র ভারত অত্যন্ত সফলতার সাথে জনশক্তি বিদেশে রপ্তানী করছে । এ খাত হতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করছে । অপর বন্ধু রাষ্ট্র চীন ও একইভাবে এগিয়ে যাচ্ছে । আমরা পারছি না কেন ? কারণ দুর্নীতি ও ঘুষ । এত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দেশী বিদেশী সাহায্য বিভিন্ন খাতে ব্যয় না করে বরং কার্যকর ভাবে শুধু বিদেশে লোক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হউক । বাংলাদেশের ইতিবাচক অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে যাবে অতি অল্প সময়ে । অথচ দুর্নীতিবাজরা অহরহ মারিং কাটিং করতে ভুয়া প্রকল্প তৈরী ও বরাদ্দ দিচ্ছে আত্মসাৎ করতে। প্রতিনিয়ত হাজার কোটি টাকার চাঁদা বানিজ্য হচ্ছে সমগ্র বাংলাদশে । বিশেষ করে ঢাকা ও পার্বত্য অঞ্চলে । ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে থাকে । চোরাচালানী ও কালো টাকাগুলি কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে ? এসব খাতের টকা সমুহ বিদেশগামীদের কাজে বিনয়োগ করলে বা খাটাইলে কত না উত্তম হতো । দালাল,চাটুকার ও চামচারা এমন কি রাজনীতিবিদরাও দেশের সত্যিকার উন্নতি চায় না । প্রায় তিন কোটি লোক বেকার । বাংলাদেশে মোট পরিবার প্রায় সাড়ে তিন কোটি ।যারা সঠিক পদ্ধতি নিশ্চিত ভিসা পাচ্ছে অথচ অর্থাভাবে বিদেশে যেতে পারছে না । বিশষ করে মাইগ্রেশন ,জব ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসাধারীদের জন্য ব্যবস্থা করা । প্রতি পরিবার হতে কমপক্ষে বা অন্যুন এক জন করে লোক বিদেশে পাঠানো উচিত । তাহলে বেকারত্ব আর থাকবে না । উল্টো বাংলাদেশে শ্রমিক ঘাটতি হতে পারে । পরিশেষে এ অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন প্রত্যাশা করছি ।