এসএসসি পরীক্ষার পর নতুন শিক্ষা কারিকুলাম করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বুধবার দুপুরে নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণের কারণে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ সময়ে শিক্ষাঙ্গনে ছিল মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা। শিক্ষার্থীদের ওপর বিশেষ মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। তাদের ক্ষতিটা যাতে দ্রুত পুষিয়ে নিতে পারি সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সশরীরে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষাও একইভাবে নেওয়া হবে। আগামী বছরের কারিকুলাম নিয়ে যেটা আলোচনা হচ্ছে সেটা এসএসসি পরীক্ষাটা সম্পন্ন করার পর আমরা সবার সঙ্গে বসে একটা পরিকল্পনা করব।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কারিকুলামের একটা রূপরেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা সেটা নিশ্চিত করেছি। আমরা মাঝপথ থেকে ভিন্ন পরিকল্পনা বা অন্য কিছু করবার এখানে সম্ভব হবে না। তাই নতুন যে আমাদের শিক্ষাক্রমের রূপরেখা সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা আগামী দিনগুলোতে আমাদের সিলেবাস এবং পাঠ্যসূচি, বইপুস্তক নির্ধারণ করব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী বলেন, একাডেমিক মানটাকে যেহেতু আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি সেখানে শিক্ষকদের মানটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা- সেটা দেখার জন্য আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ আমরা বেশ কয়েকবার বসেছি। সেগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা আমরা কিন্তু চোখ রাখছি। এক্ষেত্রে আমরা কোনোভাবেই ছাড় দেব না।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয় শহরের রাজুরবাজার এলাকায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রফিকউল্লাহ খান।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নেত্রকোনা স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক সেলিম আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছাড়াও বক্তব্য দেন— ট্রেজারার অধ্যাপক সুব্রত কুমার আদিত্য, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান, পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তফসির উদ্দিন খান, রেডক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।