নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও বাংলাদেশ প্রশ্নে তাদের অবস্থান একই বলে জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারত-মার্কিন ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপের পরে বাংলাদেশের নিবার্চন নিয়ে যেমনটা বলা হয়েছিল, তেমনই আছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান বারবার তুলে ধরা হয়েছে… সেইসাথে আমরা বলেছি, এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে ‘বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এ বিষয়ে সমাধান বের করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি এটা অনেকবার বলেছি… নির্বাচন প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এর একটি সমাধান বের করবে।’তিনি বলেন, ‘ভারত-মার্কিন ২+২ সংলাপের পর, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন… তাই, এ বিষয়ে আমার আর কিছু যোগ করার নেই। বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের অবস্থান অনেক সময়েই প্রকাশ করা হয়েছে।’
একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনের তফসিল ‘প্রত্যাখ্যান’ সম্পর্কে অন্য একটি মিডিয়া প্রশ্নের জবাবে তিনি এই বিষয়ে আর মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেন, ‘এ সম্পর্কে মন্তব্য করা আমাদের জন্য সমীচীন হবে না।’
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা ১২ নভেম্বর ভারত-মার্কিন মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপের পরে মিডিয়াকে ব্রিফ করার সময় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসাবে ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জাতি হওয়ার স্বপ্ন সমর্থন করে যাবে।’
বাংলাদেশ ইস্যুতে তিনি বলেন, সংলাপে ভারত মার্কিন পক্ষের কাছে ‘খুব স্পষ্টভাবে তার দৃষ্টিভঙ্গি’ তুলে ধরেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তাদের সংলাপের সময় নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।