বাংলাদেশের প্রবাসী আয় খাতে প্রবৃদ্ধির পতন শুরু হয়েছে এক দারুণ উত্থানের পর। সদ্য প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টে ২০২২ আমাদের তাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৮ সালেও বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আর্নিংস নেশনগুলোর তালিকায় টপটেন এ ছিল না কিন্তু ২০২২ সালেই তালিকায় অষ্টম অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ যার বাৎসরিক রেমিট্যান্স আয় সাড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার।
অভিবাসন ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান থেকে দেশেগুলোর তুলনামূলক আয়ের সবচেয়ে নির্ভরশীল তালিকা বলছে প্রবাসী আয়ে বিশ্বে প্রথম স্থানে আছে ভারত; এ খাতে দেশটির বাৎসরিক আয় ৮৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন। দ্বিতীয় চীন যার প্রবাসী আয় ৫৯ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। তালিকায় তৃতীয় মেক্সিকোর আয় ৪২ দশমিক ৭ বিলিয়ন, এরপর ফিলিপাইন ৩৪ দশমিক ৯১, মিশর ২৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার আর আর ষষ্ঠ অবস্থান থাকা পাকিস্তানের প্রবাসী আয় ২৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের আগে সপ্তম অবস্থানে আছে ফ্রান্স, যে দেশের প্রবাসী আয় ২৪ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট যে সময়টায় বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ে সবচেয়ে বেশি উত্থান দেখেছে সেটি কিন্তু করোনাকালের শুরু এবং করোনাপরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির সময়ে। করোনাকালে দেশের অর্থনীতি যে লড়াকু শক্তিতে এগিয়েছিল, এর অন্যতম কারণ ছিল রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি। সেই দুর্দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে তাদের স্বজনদের কাছে আরও বেশি অর্থ প্রেরণ করেছিল আর এখন করোনা মহামারি কেটে গেলেও অন্যরকম এক দুর্দিনে পড়েছে দেশ। দুই বছর আগে ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদসহ অনেকেই প্রক্কলন করেছিলেন চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের বাৎসরিক প্রবাসী আয় ৩০ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে যেতে পারে। কিন্তু এই দুই বছরে বাংলাদেশের রিজার্ভ উল্টো প্রতিমাসে গড়ে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমে আজকের স্তরে এসেছে।