একযোগে নিজেদের সব পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। ঠিক কী কারণে দেশটি হঠাৎ এমন কাজ করলো তার কোনো স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিতেই এমন কাজ করেছে পুতিন প্রশাসন।
১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সই কর পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি- সিটিবিটি সম্প্রতি স্থগিতের ঘোষণা দেয় মস্কো। এরপরই একের পর এক পরমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে তারা। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ মহড়ায় পরমাণবিক অস্ত্রবাহী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। একযোগে সব অস্ত্র উৎক্ষেপণের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, শত্রুদের পারমাণবিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় আমরা কীভাবে আত্মরক্ষা করতে পারি সেটার অনুশীলন করা-ই ছিল এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বিরাজমান উত্তেজনায় কঠোর বার্তা দিতেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ। অনেকে আবার বলছেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা পাঠানো থেকে পশ্চিমাদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা হিসেবেও এই মহড়া চালাতে পারে রাশিয়া।
কেউ কেউ মনে করছেন, ইউক্রেনে পরমাণু হামলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ ধরনের মহড়া চালাতে পারে রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়ার কাছ থেকে ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালানোর মতো কোনো ইঙ্গিত পায়নি তারা।