২০২১ সাল থেকে আয়ারল্যান্ড হঠাৎ করে শ্রম সংকটে পড়ে। এরপর চাকরির অনুমতি শিথিল করা হয়। ফলস্বরূপ, আইরিশ ডিপার্টমেন্ট অফ এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ২০২২ সালে ৪০,০০০ ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে স্কিল এমপ্লয়মেন্ট পারমিট এবং জেনারেল এমপ্লয়মেন্ট পারমিট। আর এই ভিসায় সর্বনিম্ন বেতন প্রতি বছর ৩০ হাজার ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩২ লাখ টাকা।
এ বছর এ পর্যন্ত ১৮ হাজারেরও বেশি নতুন ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। যার মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, মিশর, চীন, ব্রাজিল, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও বেশ কয়েকজন শ্রমিক এসেছেন। তবে সে সংখ্যা খুবই কম।
আয়ারল্যান্ডের কারিগরি শিল্পের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও দেশ থেকে বেশ কিছু দক্ষ শ্রমিক এনেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অনেক বাংলাদেশি কর্মীও বিশ্বাস করেন যে তারা ভিসা পেতে পারেন।
ওয়ার্ক পারমিট এবং কাজের ভিসা আয়ারল্যান্ডে আলাদা। প্রথমে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করুন, তারপর কাজের ভিসার জন্য।
এই ভিসা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয়ের জন্য দেওয়া হয়। যদিও ভিসা প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য জারি করা হয়, নতুন আগতরা দেশে বৈধ থাকার পাঁচ বছর পর স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারে।