হাসপাতালের মেঝেতে সারিবদ্ধ হয়ে শুয়ে আছে রোগী। রোগীদের দেখভালের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসক নার্সদের তদারকির কথা থাকলেও হাসপাতালে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। অসুস্থ রোগীদের গা ঘেষে হাসপাতাল কক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর, কখনো বা ঘুমন্ত রোগীদের গায়ে মুখ ঘষছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের এমন একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
সম্প্রতি নীলফামারীতে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। হাসপাতালে আন্তঃবিভাগে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এতে হাসপাতালে বেডের থেকে অতিরিক্ত রোগীদের অনেকের ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। এরই মাঝে হাসপাতালের ভেতরে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে কুকুর।
হাসপাতালে ঘুমন্ত রোগীর গায়ে মুখ ঘষছে কুকুর এমনি একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন রুবেল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
বেসরকারি একটি ব্যাংকে কর্মরত রুবেল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। তিনি বলেন, আমি গত ২৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯টায় হাসপাতালে আমার বোন জামাইকে দেখতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর চারিদিকে কুকুর ঘুরতে দেখি। প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরে যখন মেঝতে শুয়ে থাকা রোগী ও স্বজনদের মুখে কুকুরকে মুখ ঘষতে দেখি তখন বিষয়টি খারাপ লাগে। পরে মুঠোফোনে ছবি তুলি। এমন অবস্থা যদি সরকারি কোনো হাসপাতালের হয় তাহলে সেবার মান বা দায়িত্বরত ব্যক্তিরা প্রশ্নবিদ্ধ হবেই।