ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে কুয়েতের সালুয়া পার্কে বসেছে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা। তিন দিনব্যাপী এ মেলা রোববার থেকে মঙ্গলবার প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমের শুরুতে হয় এ মেলা। কুয়েতে আরবি এলাকা ও জনগুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে উন্মুক্ত স্থানে এ মেলা বসে।
কুয়েতের মরু অঞ্চল অফরা ও আবদালিতে বিশাল মরুভূমি জুড়ে রয়েছে কৃষি ফার্ম। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বছরজুড়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের সবুজ শাক, সবজি ও ফলমূল, ফুলের চাষাবাদ হয়ে থাকে ওই সব অঞ্চলে। কৃষি মেলায় বিভিন্ন ফার্মের মালিকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মেলায়। টমেটো, আলু, শসা, ফুলকপি, লালশাক, পালং শাক, ধনিয়া পাতা, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, মরিচ, মুলা, ভুট্টা, স্ট্রবেরি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ওষুধি গাছ ও ফুলের চারার দোকান সাজিয়ে বসেছেন খামারিরা।
বেশিভাগ দোকানে বিক্রেতা বাংলাদেশি। বিভিন্ন সুপার সপ ও বাকালা থেকে কম দামে শীতকালীন সতেজ শাক সবজি বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় হয়েছে মেলায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দাম কম হওয়ায় খুশি ক্রেতারাও। শীতকালীন শাক সবজি কিনতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন কুয়েতিসহ প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা।
অফরা থেকে আসা চট্টগ্রামের বিক্রেতা রহিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, প্রতি বছর শীতের মৌসুমে কুয়েতের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি মেলা বসে। আমাদের খামারে উৎপাদিত কৃষি পণ্য মেলায় নিয়ে আসি। কুয়েতিদের থেকে ফার্ম ইজারা নিয়ে বাংলাদেশি ও বিদেশি বিভিন্ন রকমের শাক সবজি চাষ করি। ফার্মের কাজে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও সুদান এই কয়েকটি দেশের শ্রমিক কৃষি কাজে জড়িত।
বয়ান ও সালমিয়া থেকে আসা রাজিব ও কালাম উদ্দিনসহ একাধিক বাংলাদেশি বলেন, আমার বন্ধুর কাছে শুনেছি সালুয়া কৃষি মেলা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিন ছুটি থাকায় দেখতে এসেছি। শাক সবজিগুলো সতেজ, দামও খুব কম। তাই নিজের জন্য কিনলাম, অন্য বন্ধুর জন্য দেশি লাউ, শিম, মুলা, ফুলকপি ও টমেটো কিনলাম।