তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় যেসব উপাদান ভূমিকা রাখবে তার অন্যতম হলো স্মার্ট সিটিজেন। আর স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে গণমাধ্যমকে আগের মতো চালকের ভূমিকা নিতে হবে। সরকার যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিল তখন তা অনেকে বুঝতে পারেনি।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল কথা হচ্ছে সবক্ষেত্রে অটোমেশন। মানুষ ব্যস্ততার জন্য যা করতে পারে না, তাই যন্ত্রের সাহায্যে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অথবা প্রোগ্রাম সেট করে দেওয়ার মাধ্যমে সুচারুরূপে সম্পন্ন করাই হচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গোড়ার কথা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের যাপিত জীবনকে অনেক সহজ করে দেবে। তবে এর সুফল পেতে হলে আমাদেরকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ হতে হবে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ-বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন বৃদ্ধা মা-কে প্রবাসী ছেলের সঙ্গে ঘরে বসে সরাসরি কথা বলিয়ে দেওয়ার উদাহরণ দিয়ে তথ্য সচিব বলেন, এভাবেই কষ্ট করে তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা সর্বক্ষেত্রে বোঝানো ও জনপ্রিয় করতে হয়েছিল। আশার কথা হলো-তখনও গণমাধ্যম নতুন এ ধারণাটি প্রচার করে এর সপক্ষে ব্যাপক জনমত তৈরি করেছিলো। বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ধারণাটিও তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করতে হবে।
বিটিভি’র মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম। সেমিনারের বিভিন্ন সেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার প্রমুখ।
সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমসমূহের প্রতিনিধিগণ সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেন। সেমিনারের বিভিন্ন সেশনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে অংশগ্রহণকাররিা সুপারিশ তুলে ধরেন।