মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো আমেরিকার মিশিগানে মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে সাংস্কৃতিক, আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন বয়সী সংস্কৃতপ্রেমী প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। মূলত মিশিগানে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি প্রথমে শুরু করা হয় বাংলাদেশি ও আমেরিকান জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে। এরপর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রাখা সবাইকে সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অভিবাবকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম। বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস জেনে অনেককেই আবেগে আপ্লুত হতে দেখা গেছে।
অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মিশিগান মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারের পৃষ্ঠপোষক মার্কিন চিকিৎসক ড. দেবাশীষ মৃধা এবং এর উদ্বোধনী ঘোষণা করেন তার সহধর্মিণী চিনু মৃধা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. দেবাশীষ মৃধা বলেন, একটি দেশকে উন্নত হতে হলে, আগে সে দেশের মানুষগুলোকে উন্নত হতে হয়। তখনই দেশ উন্নত হয়ে যায়। আবার শুধু লেখাপড়া করলেই হয় না, তাদের সৎ হতে হয়। তাই প্রত্যেককে সৎ হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। অসৎ হয়ে উন্নত হলেও সে উন্নয়ন তাসের ঘরের মতো ক্ষণস্থায়ী হয়। তখনই আমাদের উন্নয়ন হবে, যখন আমরা সব বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে উন্নয়ন ও প্রগতির পথে টিকে থেকে সামনে এগিয়ে যাবো।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলা স্কুল অব মিউজিকের প্রিন্সিপাল আকরাম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির কোঅর্ডিনেটর অন্তরা দাস অন্তি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কালচারাল সেন্টারের চিফ কোর্ডিনেটর মৃদুল কান্তি সরকার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তৃষা সাহা। আবৃত্তি করেন সাংবাদিক সাইফুল আজম সিদ্দিকী, জনা দাস, বাদল মণ্ডল। এছাড়া মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনা করেন প্রবাসী জনপ্রিয় শিল্পী অনামিকা রায়, পৃথা দেব, ফারহানা ইলোরা, ফারজানা রহমান সানিয়া, সুরভী বর্ণিকসহ সাদাকালো ব্যান্ড ও নাট্যরাজ শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা।