প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের সম্পর্কের কথা নিয়ে কিছুদিন আগে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তখন এ ধরনের কোনো সম্পর্ক থাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন জ্যাকুলিন। সুকেশের সঙ্গে এই বলিউড নায়িকার একটি ছবিকে ঘিরে নতুন করে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
২০০ কোটি রুপির আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে সুকেশ এখন হাজত বাস করেছেন। এই মামলার সঙ্গে বলিউডের দুই গ্ল্যামারাস নায়িকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ আর নোরা ফাতেহির নাম জড়িয়ে পড়েছে। এই দুই বলিউড রূপসীই অবশ্য দাবি করছেন, তাঁরা প্রতারণার শিকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জ্যাকুলিন আর সুকেশের বিশেষ একটি মুহূর্তের ছবিকে ঘিরে এই মুহূর্তে আবার সরব নেট দুনিয়া।
জানা গেছে, ছবিটি এ বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে তোলা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পেয়ে এই সময় জেলের বাইরে ছিলেন সুকেশ। খবর অনুযায়ী, সুকেশের সঙ্গে দেখা করতে চারবার চেন্নাই গিয়েছিলেন জ্যাকুলিন। জ্যাকুলিনের আসা–যাওয়ার জন্য প্রাইভেট বিমানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন সুকেশ।
এর আগে সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে এক বিবৃতিতে এই শ্রীলঙ্কান রূপসীর মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জ্যাকুলিনকে অভিযুক্ত হিসেবে নয়, সাক্ষী হিসেবে বয়ান দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠাচ্ছে। উনি ওনার জবানবন্দি দিয়েছেন।
তদন্তকারী সংস্থা ভবিষ্যতে অভিনেত্রীকে যদি আবার ডেকে পাঠায়, তাহলে উনি সব রকম সাহায্য করবেন। এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্ক নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় মনে করেন জ্যাকুলিন। আর উনি এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।’
২০০ কোটি রুপির আর্থিক প্রতারণা মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগস্টে জ্যাকুলিনকে প্রথম সমন পাঠিয়েছিল ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন জ্যাকুলিন। তবে নাচের জন্যই বেশি নাম করেছেন।
এই বলিউড অভিনেত্রীর বয়ান ‘মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ অনুযায়ী রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর জ্যাকুলিনকে আরও দুবার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইডির দপ্তরে যাননি। তৃতীয়বার সমন পাঠানোর পর ইডির দপ্তরে হাজির ছিলেন এই শ্রীলঙ্কান রূপসী।