রবিবার , ১৩ নভেম্বর ২০২২ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

সুপারিশসহ পরিকল্পনা কমিশনে যাচ্ছে ইভিএম প্রকল্প

প্রতিবেদক
Probashbd News
নভেম্বর ১৩, ২০২২ ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

Spread the love

টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশসহ সংশোধিত ডিপিপি আজ (রোববার) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইভিএম ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে ইসি।

গত অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইভিএম ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। পরে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে গত ৮ নভেম্বর সেই প্রস্তাবটি ইসিতে ফেরত পাঠায় পরিকল্পনা কমিশন।

নতুন প্রকল্পে ইভিএম প্রতি দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এছাড়া ৫৩৪টি গাড়ি, ১০টি গুদাম তৈরি ও এক হাজারের মতো লোকবল ইত্যাদি খাতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ব্যয় ধরেছে ইসি।

জানা গেছে, পর্যবেক্ষণে কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোসহ ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কথা বলেছে পরিকল্পনা কমিশন। তবে ইসি বলছে, যেহেতু তারা আগে থেকেই ইভিএম ব্যবহার করছে, তাই একই যন্ত্রের ওপর ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ নিয়েই প্রস্তাবটি ফের পাঠানো হচ্ছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা এসে প্রকল্প প্রস্তাবে সুপারিশসূচক স্বাক্ষরও করে গেছেন।

এ বিষয়ে ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান জানান, পরিকল্পনা কমিশন বেতন-ভাতা, পরিবহন ব্যয় ও মেইটেইনেন্স সার্ভিসে যথার্থতা কতটুকু সেগুলো দেখতে বলেছে। প্রকল্প ব্যয় সেটা কিছু কমতে পারে, তবে খুব একটা বেশি নয়।

তিনি বলেন, ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিকে তো আর রিপ্লেস করা যায় না। যেহেতু প্রকল্পের সামনে সময় কম আছে। তাই বর্তমান ইভিএমকেই আমরা পুনরাবৃত্তি করছি। সেজন্য টেকনিক্যাল কমিটির মতামত জরুরি।

তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা কমিশন আমাদের কিছু পর্যবেক্ষণের জায়গা দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টটা সাপোর্টেট কি না। আমরা যে টেকনিক্যাল স্পেসিফেকশন দিয়েছি সেটা। সেই কাজটা আজকে করলাম। এখন গ্রিনবুকে এন্ট্রি হয়েছে। অর্থাৎ প্রকল্পটি এডিবিভুক্ত হয়ে গেছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে যাবে, তারা আবার যাচাই-বাছাই করে দেখবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, টেকনিক্যাল কমিটি মোটা দাগে যে সুপারিশ দিয়েছে সেগুলো হলো—আগামী নির্বাচনে বেশকিছু ইভিএম লাগবে। বর্তমানে যে ইভিএম আছে তা দিয়ে ইসি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে—দেড়শ আসনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও ইভিএম কিনতে হবে। রোববার টেকনিক্যাল কমিটির সবার স্বাক্ষরযুক্ত পর্যবেক্ষণ পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন ইভিএম কেনা না গেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হবে না।

সর্বশেষ - প্রবাস

Translate »