আমেরিকা নিয়ন্ত্রিত ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে ইউক্রেনের অপরিণামদর্শী ইহুদী প্রেসিডেন্টের গোয়ার্তুমির সুযোগে একটি সাজানো গোছানো উন্নত দেশ আজ পরিণত: হয়েছে ধ্বংশস্তুপে। এখন গোটা ইউক্রেন পরিণত: হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। আর সেখানে মূল লড়াইটা করছে রাশিয়া এবং আমেরিকা।
ঘরবাড়ি হারিয়ে ইউক্রেনের লক্ষ লক্ষ সাধারণ নাগরিক এখন বাস্তুচ্যুত। অসহায় জীবন যাপন করছে শরণার্থী শিবিরে। অথচ কি ছিলো না তাদের।
অর্থ, সুখ, নিরাপদ বাসস্থান, স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপনের সব উপকরণ। এক যুদ্ধেই পাল্টে গেছে জীবনটা।
প্রশ্ন হচ্ছে, এর জন্য কে দায়ি? ইউক্রেনের মতো একটি সমৃদ্ধ সুন্দর দেশকে ধ্বংশস্তুপে পরিণত: করার জন্য প্রথমত: আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে দায়ি করবো। দেশের রাজনীতি কিংবা বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ছাড়াই এক কৌতুক অভিনেতাকে ইউক্রেনের জনগণ কোন আক্কেলে যে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছে, সেটা্ও একটা রহস্য।
এই ই্হুদী ভাঁড় পুরোমাত্রায় আমেরিকার দাস। তার কি উচিত হযেছে রাশিয়ার মতো একটি শক্তিশালী প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া?
আজ বাংলাদেশ যদি ভারতের পেটে থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যায় কিংবা এই দেশে ভারতের প্রতিপক্ষ বা শত্রু রাষ্টের সাথে হাত মেলায় তাহলে কি বসে থাকবে ভারত?
ঠিক তেমনি ইউক্রেনে ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছাটাই ছিলো জেলনস্কি প্রশাসনের মারাত্নকতম ভুল। এই সুযোগের সৎব্যবহার করে ইউক্রেনের মাটিতে বিশ্বের দুই পরাশক্তি রাশিয়া এবং আমেরিকা তাদের নতুন পুরাতন যুদ্ধাস্ত্র পরীক্ষা করছে আর ইউক্রেন একটা ধ্বংশস্তুপে পরিণত: হচ্ছে।
রাশিয়া তার নিজের দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে একটি বিশাল সমৃদ্ধ জনপদকে গোলার আঘাতে মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। রাশিয়া পারতো কুটনৌতিক উপায়ে দুই দেশের বিবাদকে মিটিয়ে ফেলতে। কিন্তু রাজনীতিতে অশিক্ষিত এক সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার গোয়ার্তুমিতে আজ রাশিয়ার অর্থ সম্পদ জীবন সবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাজার হাজার সৈন্য নিহত হচ্ছে, সামরিক সক্ষমতা ক্রমশ: ফুরিয়ে আসছে এবং দেশের অর্থনীতি হুমকীর মুখে। অন্যদিকে ইউক্রেনের হাতে যদি পশ্চিমারা দূর পাল্লার অস্ত্র তুলে দেয়, তাহলে রাশিয়াও একদিন ধ্বংশস্তুপে পরিণত: হতে বাধ্য।
এই যুদ্ধ এখন আর দুই দেশের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। গোটা বিশ্ব ক্রমশ: বিভিন্ন শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। ইউক্রেনের পেছনে যেমন প্রধানত: আমেরিকা এবং ইউরোপ, ইসরাইল। অন্যদিকে রাশিয়ার পাশে চীন, উত্তর কোরিয়া, ইরান তথা আমেরিকা বিরোধী দেশগুলো। এর মাঝে তুরস্ক চেষ্টা করছে নতুন মুসলিম জোট গঠনের। সবাই মিলে খেলছে ইউক্রেনের মাঠে।
যুদ্ধের প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। জ্বালানী সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন। বাড়ছে বেকারত্ব। অনেক দেশের মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।
তাই গোটা বিশ্বের মানুষকে বাঁচাতে এখুনি এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। এখনও সময় আছে কুটনৈতিক উপায়ে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার। ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে। আর রাশিয়াকে ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলসমূহ ছেড়ে দিতে হবে। বাকি আলোচনা পরে।