মালয়েশিয়ায় ছয় ভারতীয় নাগরিক পাচারে এক অভিবাসন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেলএলআইএ-২), সেপাংয়ে বিদেশিদের পাচারের একটি সিন্ডিকেট বৈধ নথি ছাড়াই ছয় ভারতীয় নাগরিককে মালয়েশিয়ায় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক খাইরুল জাইমি দাউদ বলেছেন, ছয় ভারতীয় নাগরিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে গ্রেফতার করা হয়। ২০ থেকে ৪২ বছর বয়সী ছয় ভারতীয় নাগরিক লেভি পেমেন্ট এড়াতে বৈধ পাসপোর্ট ছাড়াই কাজ করার জন্য মালয়েশিযায় প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সিন্ডিকেটের কাজ হলো পর্যটক হিসেবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য তাদের ভুয়া ই-ভিসা দেওয়া।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক, খাইরুল জাইমি দাউদ বুধবার (২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, সিন্ডিকেট আবাসন সুবিধা, ট্যুর প্রোগ্রাম এবং তারা প্রকৃত পর্যটক হিসেবে দেখানোর জন্য কিছু অর্থ দেওয়া দেয়।
পরিচালক বলেন, ৩১ বছর বয়সী অভিবাসন কর্মকর্তা মাইআইএমএম সিস্টেমে বিদেশিদের ভ্রমণ রেকর্ড না করেই পাসপোর্টে স্ট্যাম্প লাগিয়ে সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, সিন্ডিকেটটি গত এপ্রিল থেকে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি বিদেশি (দর্শনার্থীর) কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার রিঙ্গিত চার্জ নেওয়া হয়।
অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করার জন্য অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬-এর অধীনে গ্রেফতার বিদেশিদের তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া ২০০৭ রিমান্ডের আদেশ প্রাপ্তির পর অভিবাসন কর্মকর্তা ব্যক্তিদের পাচার বিরোধী এবং অভিবাসীদের চোরাচালান বিরোধী আইনের ২৬এ ধারায় তদন্ত করা হবে।
চোরাচালান ও মানবপাচার মোকাবিলায় বুদ্ধিমত্তা ও অপারেশনাল প্রচেষ্টা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে অভিবাসন। ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট কোনো পক্ষের সঙ্গে আপস করবে না যদিও এতে অভিবাসন কর্মকর্তারা জড়িত থাকে।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, যারা দোষী প্রমাণিত হবে তারা আইনের অধীনে উপযুক্ত শাস্তি পাবেন।