সিরিয়ার হোমস, আলেপ্পো দামেস্কের অনেক শরণার্থী লেবাননে বিভিন্ন শিবিরে অবস্থান করছেন। ফাইল ছবি। ছবি: পিকচার অ্যালায়েন্স
মানবিক করিডরের আওতায় ৩৭ জন সিরীয় শরণার্থীকে বুধবার লেবানন থেকে ইতালিতে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। এদিকে শুক্রবার একই প্রক্রিয়ায় আরও ২৯ জন শরণার্থী ইতালিতে নেওয়া হয়েছে।
ইতালিতে আসা এই শরণার্থীদের সিসিলিতে আশ্রয় দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সিরিয়ার হোমস, আলেপ্পো দামেস্কের অনেক শরণার্থী লেবাননে বিভিন্ন শিবিরে অবস্থান করছেন। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকায় চরম কষ্টে আছেন শরণার্থীরা। এমন পরিস্থিতি থেকে শরণার্থীদের সুরক্ষা দিতেই মানবিক করিডর দিয়ে ইতালিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
ইতালিতে নিয়ে আসা এই শরণার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিগত পর্যায় থেকেও আশ্রয় দেওয়া হবে। এছাড়া শরণার্থীদের ইতালিতে ইন্টিগ্রেশন কোর্সে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগও দেওয়া হবে।
সাত হাজার শরণার্থী ইউরোপে
মানবিক করিডরের আওতায় এখন পর্যন্ত সাত হাজার শরণার্থীকে ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আর ২০১৬ সালের পর থেকে লেবানন থেকে দুই হাজার ৩০০ শরণার্থীকে ইতালিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
মানবিক করিডোর হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা বেসরকারি সংস্থাসমূহকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সহায়তায় কাজ করার অনুমতি দেওয়। এসব বেসরকারি সংস্থার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ইভাঞ্জেলিক ও ক্যাথলিক চার্চের পরিচালনাধীন দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
তবে শর্ত থাকে যে, এই সব বেসরকারি সংস্থা অভিবাসীদের স্থানান্তরে অর্থ সহায়তা ও যে দেশে তাদের নেওয়া হবে সে দেশে তাদের ইন্টিগ্রেশনে বা সমাজের মূল স্রোতে মিশতে সহায়তা করবে।