কুমিল্লা-নোয়াখালী ফোরলেনের কাজ চলছে প্রায় ৫ বছর হতে চললো, কিন্তু নোয়াখালী অংশে কাজের অগ্রগতি এত কম কেন? বিলম্বের জন্য সরকারিভাবে উল্লিখিত কারণের বাইরে কোনো লুকায়িত কারণ আছে কি?
যে দেশে ফুটপাতে পানের দোকান বসলে চাঁদা দিতে হয়, সে দেশে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার নির্মাণকাজে চাঁদাবাজির কোনো গোপন রহস্য আছে কিনা, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তা তদন্ত করে দেখতে পারে। যদি না থাকে, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ-শোকর আলহামদুলিল্লাহ।
আর যদি থাকে তাহলে তার বিচার করবে কে? কেন মানুষকে বাড়ি যেতে এত ধকল সইতে হয়? এতো বছর ধরে এ রাস্তায় চলাচল যে কী বেদনাদায়ক ও কষ্টকর, ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের ফলে এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিন দিন গুরুত্বর্পূণ হয়ে উঠছে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, রামগঞ্জ, রামগতি এলাকার এসি, নন-এসি বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ বিপুল যানবাহন এখন এ রাস্তায় চলাচল করে। জনগণের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক জ্যামমুক্ত হওয়ায় মানুষের গমনাগমন বেড়েছে।
সারা দেশে ডমেস্টিক ট্যুরিজম দিন দিন বাড়ছে। তাই নির্ধারিত সময়ে আঞ্চলিক মহাসড়কটির চার লেনের নির্মাণকাজ শেষ করা প্রয়োজন। এটি লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীবাসীর প্রাণের দাবি।