পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইউরোপ-আমেরিকা যদি খারাপ থাকে আমাদের জিনিস কিনবে না। মধ্যপ্রাচ্য খারাপ হলে আমাদের লোক সেখানে কাজ করতে পারে না।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দূরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ শীর্ষক এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই। আমরা স্থিতিশীলতা চাই, বিশেষ করে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি যদি না থাকে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হই। আমরা চাই সব দেশে স্থিতিশীলতা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আগামীতে বিভিন্ন দেশ সমস্যায় পড়বে বলে মন্তব্য করেন মোমেন। তিনি বলেন, যে পরিস্থিতি দেখছি আগামীতে বিভিন্ন দেশ সমস্যায় পড়বে। এটার কারণ হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর ফলে সাপ্লাই চেইন, ফিন্যান্সিয়াল চেইন সবগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে সারা ইউরোপ যেমন ঝামেলায় পড়বে, অন্য দেশও ঝামেলায় পড়বে।
সামনের শীতে বৈশ্বিক পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে বলে ইঙ্গিত দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক করেছেন। ইতোমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। জ্বালানি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের অসুবিধা তত হবে না। আমরা আগেভাগেই পদক্ষেপ নিচ্ছি, যাতে কোনো ঝামেলায় না পড়ি।
শেখ রাসেল প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে পৃথিবীর আর কোনো দেশেই এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। সে কারণে বিশ্বের সব শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। এটা করতে পারলেই শেখ রাসেল দিবস স্বার্থক হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রতি বছর দুঃখ ভারাক্রান্তভাবে রাসেল দিবসের আলোচনা করি। বঙ্গবন্ধু বার্ট্রান্ড রাসেলের নাম অনুযায়ী তার এই নাম রাখেন। সেই সময়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেল। বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী বলেই তার পুত্রের নাম রাখেন রাসেল।
নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী এক ভিডিও বার্তায় বলেন, শেখ রাসেলকে হত্যার ঘটনা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শেখ রাসেলের মতো কোনো শিশুর ভাগ্যে এমন ঘটনা না ঘটে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস ও শেখ রাসেলের সহপাঠী হাফিজুল হক বক্তব্য দেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আলোচনা সভার শুরুতে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব।