তোমার উপত্যকা জুড়ে কেবলই ঝড়
চন্দ্রিমালোকের বিস্তির্ন প্রান্তর শুধু তোমাকে চায়।
প্রজাপতির নীল পাখায়
নীল গোলাপ পাপড়ী মেলেছে,
ছুঁয়ে যাওয়া লজ্জ্বাবতীর শাখায়,
শরমে মরেছে কোথায় সে লুকায়।
মনে পড়ে, আমাদের পশ্চাতে পাহাড় এবং নদী ছিল,আকাশে ভাসমান ছিল, সাদা ছেঁড়া মেঘের বাড়ি, সে বাড়ি কখন হৃৎপিন্ডের আদলে বিমুর্ত্ত্য,
কখনো চিত্র কলার বিভিন্ন রঙে ধরা দিয়ে,
স্বপ্নিল ভেলায় খেলেছে,
রাঙিছে তোমার মন, আমার শরীর।
রাতের তারারা সাজিয়েছে বাসর
দুরাকাশ দ্বীপে,
তোমার তখনো ভাঙ্গেনি ঘুম
ছিলে স্বপ্নিল আবেশে।
আমি রাত জাগা পাখির মতো
শূন্যপথের যাত্রী।
আমাকে বাঁধেনি তোমার
কালোকেশি এলো চুল,
অবিন্যাস্ত পৃথীবির বিন্যাস্ত চুড়ায়,
নেমেছে সূর্যভোর।
এক নিশ্বাসে আমি হাজারটা নীল গোলাপ
ছুঁয়েছি,
বিশ্বাসের নিশ্চিদ্র উপত্যকায়।
হেঁটে গেছি তোমার রূপালি পদচিহ্নের
অংকিত আলপনায়।
স্বর্গের দারুচিনি গাছ স্পর্শ করেছে
তোমার চিবুক।
একরাশ সুগন্ধি ছড়িয়ে লোবানের ধুয়ায়
ঝাপসা হয়ে গেলে,
দৃষ্টির সীমানায়।
বলো,
এ কেমন প্রেম।
নীল গোলাপ, প্রজাপতির ডানায়
মেলেছে পাখা, লজ্জ্বাবতীর শাখায়।
তোমার উপত্যকা জুড়ে এখন কেবলি ঝড়।
১৪/১০/২০১৫ইং
ঢাকা, শেওড়া পাড়া।