আপিল বিভাগের আদেশ প্রতিপালনার্থে নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গ্রহণের সকল ব্যবস্থা নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আদেশটি নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার পর যাচাই বাছাই ও প্রত্যাহারের পর চেয়ারম্যান পদে দুই জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৫ জন নির্বাচনে অংশগ্রণের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন। প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ের সময় ব্যাংকের ঋণ খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাবক্স তাহের টিটুর।
পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আপিল করেও টেকেনি টিটুর মনোনয়ন। পরে টিটুর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট)। পরে হাইকোর্টের আদেশ পুনঃরায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
পরবর্তীতে আবেদনের শুনানি করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার আদালত। আদালত শুনানি শেষে সদস্য পদে নির্দিষ্ট তারিখে নির্বাচন দেওয়ার ও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত রেখে আগামী ১৮ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে নিষ্পত্তির জন্য দিন ধার্য করেন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত চিঠিতে আগামী ১৭ অক্টোবরের জেলা পরিষদ নির্বাচনে সকল পদের নির্বাচন স্থগিতকরণের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা নির্বাচন স্থগিত রাখবো।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ১৭ অক্টোবর নোয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নোয়াখালী জেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ১৭ অক্টোবর নোয়াখালীর ৯টি কেন্দ্রে জেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পর যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে চেয়ারম্যান পদে দুজন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১৫ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। নির্বাচনে এই জেলায় মোট ভোটার ১ হাজার ৩০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৯৮ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ৩০৮ জন।