আগামী ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বৃহত্তর টরন্টো সিটির নির্বাচন। ৫০টি নির্ধারিত আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে ইতিমধ্যে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে অগ্রিম ভোট।
এবার টরন্টোর মেয়র পদে ৩১জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে বর্তমান মেয়র জন টনি ছাড়া অন্য প্রার্থীরা অনেকটা অপরিচিত। এবারও টনি নগর পিতা হবে, তা প্রায় নিশ্চিত। আর কাউন্সিলর পদে ১৬৪ জন ও স্কুল বোর্ড ট্রাস্টি পদে ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও মেয়র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন বাংলাদেশি মনোয়ার হোসেন। এবারে লড়াই তার পঞ্চম লড়াই।
তিনি ইত্তেফাককে বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতি করি। কয়েক বার প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছি। আমি পাশ করতে পারি না। কিন্তু আমি সেবা করতে চাই। তাই বার বার ভোটে দাঁড়াই।
ছোটবেলায় কবিতায় পড়েছি, ’ক বার না পারিলে দেখ শত বার।’ যদিও আরও ৯৬ বার সুযোগ আছে। আমার টাকা-পয়সা নেই। ডিজেবেলিটিতে থাকি। তাই প্রচার কম।
এছাড়াও ৩ জন বাংলাদেশি ওয়ার্ড কমিশনারে প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- টরন্টো থেকে শরিফ আহমেদ, ব্রাম্পটন সিটি থেকে মো. রফিকুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম।
একই সাথে অনুষ্ঠিত স্কুল বোর্ড ট্রাস্টি নির্বাচনে ৪ বাংলাদেশি প্রার্থীরা হলেন সুশীতল চৌধুরী, সনি মীর মাহবুব মোরশেদ ও শেখ হোসেইন।
টরন্টো ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড ট্রাস্টি পদে ওয়ার্ড নম্বর-২৪ (স্কারবোরো-গিল্ডউড) থেকে প্রতিদ্বন্দী কৃষিবিদ ড. সুশীতল চৌধুরী ইত্তেফাককে বলেন, উত্তর আমেরিকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে গান-ভায়োলেন্স চলছে, তা প্রতিরোধ-প্রতিকারের জন্য আমি শিক্ষক-ছাত্র-অভিভাবক নিয়ে কাজ করছি। স্থায়ীভাবে শান্তির সমাধানের জন্য আমি প্রার্থী হয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি স্কুল বোর্ড ট্রাস্টিতে নির্বাচিত হতে পারিনি। আমি প্রত্যাশা করছি, আমাদের কমিউনিটির সেই আশা পূরণ হবে। লক্ষ্য করে দেখবেন, এবারের পৌর নির্বাচনে বাংলা ভাষায় নির্বাচনী প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে স্থান পেয়েছে।
উল্লেখ্য, কানাডায় তিন স্তরের সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার, প্রাদেশিক সরকার এবং পৌর সরকার।