ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে মারা যাওয়া কুর্দি তরুণী মাহশা আমিনি পুলিশের মারধরে নয়, অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ইরান। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করে ইরান সরকার। খবর এএফপির।
শুক্রবার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, মাহসা আমিনির মৃত্যুর বিষয়ে একজন ইরানি করোনার জানিয়েছেন, তিনি মাথা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আঘাতের কারণে মারা যাননি। সেরিব্রাল হাইপোক্সিয়ার কারণে একাধিক অর্গান ফেইলিওরের কারণে মারা গেছেন।
ইরানের ফরেনসিক মেডিসিন অর্গানাইজেশন (এফএমও) এক বিবৃতিতে বলেছে, সেরিব্রাল হাইপোক্সিয়ার কারণে একাধিক অঙ্গের অকার্যতায় মারা গেছেন মাহশা আমিনি। তার মস্তিস্ক ও হার্টে সমস্যা হয়েছিল।
পাকিস্তানের সঙ্গে গাবদ-রিমদান সীমান্ত বন্ধ করলো ইরানপাকিস্তানের সঙ্গে গাবদ-রিমদান সীমান্ত বন্ধ করলো ইরান
যদিও ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনির পরিবার বলছে, নৈতিকতা পুলিশের মারধরের কারণে তিনি মারা গেছেন।
‘ভুল প্রথায়’ হিজাব পরার অভিযোগে ইরানের নীতি পুলিশ গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাহশা আমিনিকে গ্রেফতার করে। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে তাকে মারধর করা হয়েছিল। এরপর ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে দেশটির পুলিশ মারধরে মাহশা আমিনির মৃত্যু দাবি অস্বীকার করে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অন্য বন্দিদের সঙ্গে আটক থাকার সময়ে মাহশা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।