২০১৫ সালে এমবিএস নামে পরিচিত মোহাম্মেদ বিন সালমান সৌদি আরবের ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে চালু হওয়া দেশটির ‘পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’ পিআইএফ ব্যবহার করে দেশকে আধুনিকতর করা এবং আয়ের উৎস বাড়ানোর পরিকল্পনা করেন এমবিএস। তারই অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে উবার-এ সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে বিশ্বে প্রথম আলোড়ন তুলেছিলেন এমবিএস। খবর ডয়চে ভেলের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে পিআইএফকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ সভরেন ওয়েলথ ফান্ড বা ‘সার্বভৌম সম্পদ তহবিল’ হতে চায়। বিশ্বের অনেক দেশেরই এমন তহবিল আছে। এসব তহবিল রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট হয়ে থাকে। বর্তমানে নরওয়ের তহবিল সবচেয়ে বড়, যার পরিমাণ প্রায় ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
২০৩০ সালের মধ্যে পিআইএফের সম্পদের পরিমাণ দুই ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চান মোহাম্মেদ বিন সালমান। বর্তমানে এর সম্পদের পরিমাণ ৬০৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৫ সালের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তেল রপ্তানি করে সৌদি আরবের আয় বাড়ছে। ফলে পিআইএফ এর আকার আরও বড় হবে বলে মনে হচ্ছে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন গ্লোবাল এনার্জি পলিসির সিনিয়র গবেষক কারেন ইয়ং জানান, বর্তমানে শুধু লাভের আশায় কাজ করছে পিআইএফ। অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধি, নতুন চাকরির সুযোগ তৈরির জন্য এই তহবিল কাজে লাগানো হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে পিআইএফ আরও বেশি রাজনৈতিক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স বা এসডাব্লিউপির মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা বিভাগের প্রধান স্টেফান রোল জানান, পিআইএফ মিশরের বিভিন্ন কোম্পানি কিনছে বা সেগুলোতে বিনিয়োগ করছে। যদিও এ ব্যাপারে অস্বচ্ছতা আছে। তাই মিশরের সুশীল সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন রোল।
তবে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়ংয়ের মতো এসডাব্লিউপির স্টেফান রোলও মনে করছেন, এই মুহূর্তে সৌদিরা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে কম চিন্তিত। তাদের মূল লক্ষ্য লাভ করা।