তুরস্কে অধ্যয়নরত স্নাতক, স্নাতর, পিএইসডি কোর্সে উত্তীর্ণ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস।
স্থানীয় সময় শনিবার (১ অক্টোবর) রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ‘বিজয় একাত্তর মিলনায়তনে’ এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইসডি কোর্সে উত্তীর্ণদের মধ্যে ৩৯ জন মেধাবী কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কয়েকজন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিখরা বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিদেশে দূতাবাসের আয়োজনে এভাবে সংবর্ধনা দেওয়ায় নিজেদের ধন্য মনে করছেন। এছাড়া এ ধরনের সম্মাননা প্রাপ্তি মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎদীপ্ত করবে বলেও শিক্ষার্থীরা মনে করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ুদ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গী শহীদদের স্মরণ করে দেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়ে অবদান রাখার জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ভাগ্যবান উল্লেখ করে বলেন যে নতুন এবং অগ্রসরমান বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে তাদের বিরাট ভূমিকা পালনের অবকাশ রয়েছে যা জাতির প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ৭ জন বিজয়ীর মধ্যে ল্যাপটপ, মোবাইল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয়।
পরে, কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মানে কেক কাটা হয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সবাইকে আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এর আগে কোরআন থেকে তিলাওয়াত, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।