পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের নেতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ইসলামাবাদের সিনিয়র সিভিল জজ রানা মুজাহিদ রহিম এই পরোয়ানা জারি করেছেন।
দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডন বলছে, গত ২০ আগস্ট ইসলামাবাদের সমাবেশে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেবা চৌধুরীকে হুমকি দেওয়ার মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) এই পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে বিষয়টি জানা যায় আজ শনিবার।
এদিকে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর বিবৃতি দিয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশ। তারা বলছে, এটা পুরোপুরি আইনি প্রক্রিয়া।
পুলিশ বলছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মামলা থেকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ বাতিল করার পর মামলাটি দায়রা আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পিটিআই প্রধান সেখান থেকে জামিন নেননি।
ইসলামাবাদ পুলিশের ভাষ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই বিষয়ে আদালতের সর্বশেষ শুনানিতেও উপস্থিত ছিলেন না এবং তার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সেই সময়ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
ইমরান খান গত ২০ আগস্টের ভাষণে ইসলামাবাদ পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং উপ-মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, আমরা আপনাদের ছাড় দেব না।
গত ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে গ্রেপ্তার হন ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহকারী ও পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহবাজ গিল।
শাহবাজের মুক্তির দাবিতে ব্যাপকভাবে সরব হন পিটিআই চেয়ারম্যান। পরে দলীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইমরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যদি অবিলম্বে শাহবাজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে ইসলামাবাদ পুলিশের আইজি, ডিআইজি ও যে আদালতে শাহবাজের বিচার চলছে, তার বিচারক জেবা চৌধরীকে ‘দেখে নেবেন’ তিনি।