শুধু নিজের ভাগ্যবদল নয়, সৌদি আরবে গেলে পুরো এলাকার চেহারাই পাল্টে দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়েছিলো একই গ্রামের দুই ভাই আবদুল মান্নান ও আবদুল হান্নান। প্রবাসে যাওয়ার পর আবুল কালামের চাকুরিতো মেলেইনাই, উপরন্ত অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন সেখানে। সন্তানের কষ্টের খবর জেনে জীর্ন বসতভিটায় আহাজারি করছেন অন্ধ জননি।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের আবুল কালাম ভূঁইয়া পেশায় ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি। তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চলছিল সুখেই। কিন্তু দালালের মিষ্টি কথায় ভুলে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে পুরো পরিবারই এখন নি:স্ব। দুই বেলা খাবার জোটেনা ঠিকমতো, শিশুদের জন্য দুধ কেনার সামর্থও হারিয়েছেন কালামের স্ত্রী। কেননা পরিবারে কালামই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
সৌদি আরবে কাজ নেই তাই বেতনও নেই।বিভিন্ন পরিত্যক্ত ভবনে থাকার চেষ্টা করলেও সেখান থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে তাকে। প্রবাসে টিকে থাকার জন্য বাড়ি থেকে টাকা পাঠানোর জন্য বলায়, ঘোর সঙ্কটে পড়েছে পরিবার।
বিভিন্ন বেসরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এবং সুদে টাকা খাটানো ব্যক্তিদের কাছ থেকে ঋণ করে পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিলো দালাল মান্নান ও হান্নানকে। কথা ছিল ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পাবেন মাসে। কিন্তু ৯ মাসেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি পাননি আবুল কালামসহ আরও অনেকে। সৌদি আরবে মানবেতর জীবন কাটছে কালামসহ অর্ধশতাধিক যুবকের।
প্রবাসে কষ্টে আছেন স্বামী, নিজেরাও পান না ঠিক মতো খেতে। অন্যদিকে পাওনাদারের চাপ। সব মিলিয়ে চরম হতাশার মধ্যে দিনানিপাত করছেন কালামের স্ত্রী। চাইলেন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা।
আমরা আশা করবো সরকার উপরোক্ত ঘটনার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ আবুল কালামকে সৌদি আরবে কাজের সুযোগ করে দেবে।