গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। এ বছরের শুরুতে তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আক্ষেপ এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনি জামান বলেছিলেন, মানুষটা মরে গেলো, আর সাথে সাথেই তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলো। কেউ তাকে মনে রাখার প্রয়োজন বোধ করলেন না। দ্রুত সবাই তাঁকে ভুলে গেলো!’
আজ বরেণ্য এই অভিনেতার জন্মদিন। বেঁচে থাকলে ৮২ বছরে পা রাখতেন তিনি। বিশেষ এই দিনটিতে কেমন আছেন তাঁর পরিবার? পরিবার থেকে কোনো আয়োজনই বা রাখা হয়েছে কিনা? জানতে ফোন করা হয় স্ত্রী রুনি জামানকে।
আক্ষেপ করে তিনি সমকালকে বললেন, ‘বিশেষ দিনটিতে আর কি আয়োজন থাকবে। আমি নিজেও তো অসুস্থ। নানাবিধ অসুখে ভোগছি। এখন ভালোয় ভালোই তাঁর (এটিএম শামসুজ্জামানের) কাছে চলে যেতে পারলেই হলো।’
কথায় কথায় রুনি জামান জানালেন, এটিএম শামসুজ্জমান চলে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত মিডিয়ার কেউ তাঁদের খোঁজ নেয়নি। পরিবার তো দূরের কথা এটিএম শামসুজ্জামানের কবরটাও কোনোদিন কেউ দেখতে আসেনি। তবে সাধারণ মানুষ এটিএম শামসুজ্জামানকে মনে রেখেছেন। তাদের অনেকেই কবরের পাশে আসেন। পাশ দিয়ে গেলেও কবর জিয়ারত করে যান।
বিষয়টি ভেবে এটিএমের মৃত্যুর প্রথম বছর খারাপ লাগতো রুনি জামানের। এখন আর খারাপ লাগে না। মিডিয়ার মানুষ তো বেঁচে থাকা অবস্থাতেও তেমন খোঁজ নেয়নি। তাই তাদের কাছে প্রত্যাশা করাটাও বোকামিই মনে করেন তিনি।
রুনি বলেন, ‘মিডিয়ার মানুষ সামনা সামনি অনেক কিছু বলে। কিন্তু আড়ালে গেলে তারা সব ভুলে যায়। এখন আর তাদের কাছ থেকে একটা ফোন কলও আশা করি না। যখন এটিএম শামসুজ্জমান অসুস্থ হয়ে বেঁচে ছিলেন তখনও কেউ যোগাযোগ করতো না বলে আক্ষেপ করতেন। এখন মৃত্যুর পর আমার আক্ষেপ করার আর কিছু নেই।’