আয়, বাড়ির মালিকানা, শিক্ষা এবং আর্থিক অবস্থানের ক্ষেত্রে নিউইয়র্ক সিটির চীনা, ভারতীয়, কোরিয়ান, জাপানি, ফিলিপিনো এবং ভিয়েতনামের অধিবাসীগণের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০২০ সালে এশিয়ান-আমেরিকানের সংখ্যা বেড়েছে ৬.৮%। অথচ একই সময়ে এই সিটির জনসংখ্যা কমেছে ০.৮%। নিউইয়র্ক সিটির সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী, এশিয়ান আমেরিকানের সংখ্যা ১৫ লাখ। এই সিটির মোট জনসংখ্যার ১৭ ভাগ হলেন এশিয়ানরা।
সেনসাস ব্যুরোর পরিসংখ্যানের আলোকে এক গবেষণায় এসব তথ্য প্রকাশ করেছে এশিয়ান আমেরিকান ফোডারেশন। ৭ সেপ্টেম্বর এই সংস্থার গবেষণা পরিচালক লিনইং হী বলেন, একই ধরনের পর্যালোচনা জরিপ চালানো হচ্ছে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, তাইওয়ান এবং থাইল্যান্ডের অভিবাসীগণের ব্যাপারেও। সে সব তথ্য সামনের বছর গ্রীষ্মে উপস্থাপন করা হবে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কোন এলাকায় অধিক বসতি, বয়স, অভিবাসন এবং সিটিজেনশিপের স্ট্যাটাস, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ইংরেজিতে কথা বলার ধরন, দারিদ্র্য, বার্ষিক আয়, চিকিৎসা সেবা গ্রহণের বিবরণ, চাকরি, পেশা, গৃহায়ন এবং ইন্টারনেট গ্রহণকারির সংখ্যা ইতাদি পর্যালোচনা করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটিতে অভিবাসী সমাজের মধ্যে দ্রত বাড়ছে এশিয়ানের সংখ্যা।
এই সিটিতে বসবাসরত এশিয়ানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরিব হচ্ছে চীনারা- ৩৯.৮%। কম্পিউটারের মালিকানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হচ্ছেন জাপানিরা- ৯৭.৯%। জাপানিদের ৯৬.২% ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এ সংখ্যাও সর্বোচ্চ।
ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলেন ফিলিপিনোরা-৪৯.৪%। এশিয়ানদের মধ্যে চিকিৎসা-সেবা গ্রহণের ইন্স্যুরেন্স সবচেয়ে কম হচ্ছে কোরিয়ানদের মধ্যে-৯.৭%। ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন সবচেয়ে বেশি ভারতীয়রা-৪০.২%। ব্রঙ্কসে সবচেয়ে বেশি ভিয়েতনামি রয়েছেন। একক কোনো বরোতে সে সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ এই সিটিতে যত ভিয়েতনামি রয়েছেন তার ১৪.৭% আছেন ব্রঙ্কসে।