পাকিস্তানের বন্যাকবলিত স্থানগুলোতে বিমানযোগে জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ২০০ জন ছাড়িয়েছে। ভয়াবহ এই বন্যায় দেশটির অনেক পরিবার রোগ ও গৃহহীনতার ঝুঁকিতে আছেন। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানে প্রায় তিন কোটিরও বেশি মানুষ এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে এ সব জায়গায় দেশটির সেনাবাহিনীর উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উজবেকিস্তান থেকে ত্রাণসহ দুইটি বিমান ইতোমধ্যে ইসলামাবাদে অবতরণ করেছে। খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ ও তাঁবুসহ সেই ত্রাণ সরবরাহ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার থেকে সহায়তা নিয়ে আরও দুটি বিমান শিগগিরই দেশটিতে পৌঁছাবে। এছাড়াও তুর্কি থেকে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণসামগ্রী বহনকারী একটি ট্রেন পাকিস্তানের দিকে যাচ্ছে। দেশটি এখন পর্যন্ত চীন, সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক, উজবেকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য কিছু দেশ থেকে সাহায্য পেয়েছে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহের শুরুতে বন্যা দুর্গতদের জন্য তিন কোটি মার্কিন মুদ্রার সাহায্য ঘোষণা করেছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে, জাতিসংঘ ও পাকিস্তান যৌথভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্যের জন্য জরুরি তহবিলে ১৬ কোটি মার্কিন ডলারের একটি আবেদন জারি করেছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা শুক্রবার বলেছে, আবেদনের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক হলেও পাকিস্তানের আরও সাহায্যের প্রয়োজন।