রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি এবার শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরও একদল শিক্ষার্থী।
গত ৭ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। ১৯ জুলাই লংমার্চ করে রেলওয়ে ভবনে গিয়ে মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেসময় ছয় দফা দাবি মেনে নিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ায় পর বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেল ৪টায় আবার কমলাপুর রেলস্টেশনে যান মহিউদ্দিন রনি। এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দেখা যায়। দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়ার পরও কর্তৃপক্ষের আশ্বাস না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শাহবাগে আসেন রনি। একইসঙ্গে সারাদেশে ভুক্তভোগীদের রেলস্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালনেরও আহ্বান জানান তিনি।
শাহবাগে অবস্থান নিয়ে মহিউদ্দিন রনি বলেন, আগের বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি আমার ভাই-বোনদের নিয়ে আজ বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাই। সেখানে গেলে পুলিশ ও আনসার আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার ভাই-বোনদের গায়ে হাত দেয়। আমি আমার ভাই-বোনদের কোনো ক্ষতি চাই না। তাই তাদের নিয়ে আমি শাহবাগে চলে এসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেওয়া ছয় দফা ও আমাদের ওপর হামলার বিচার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা শাহবাগে অবস্থান করব।
তার দাবিগুলো হলো- ই-টিকিটিং প্ল্যাটফর্মে (Shohoz.com) যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা, টিকিট বিক্রির কালোবাজারি প্রতিরোধ করা,অনলাইনে টিকিট বুকিং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের টিকিট কেনার সহজ ও স্বচ্ছ উপায় তৈরি করা, জনসাধারণের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো, ট্রেনের টিকেট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ এবং ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অন্যান্য পরিষেবা নিশ্চিত করা।