মঙ্গলবার , ৭ জুন ২০২২ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ খাদ্য অপচয় হয় বাংলাদেশে

প্রতিবেদক
Probashbd News
জুন ৭, ২০২২ ১১:৩৩ অপরাহ্ণ

Spread the love

সারা দুনিয়াতে প্রতি বছর যত খাবার উৎপাদন হয় তার একটি বড় অংশ মাঠ থেকে আর খাবার টেবিল পর্যন্ত পৌঁছায় না। সেটি অপচয় হয়ে যায়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে প্রতি বছর যত খাবার উৎপাদন হয়, তারও একটি বড় অংশ ভাগাড়ে যায়, মানে নষ্ট হয়। বছরে বাংলাদেশিরা মাথাপিছু প্রায় ৬৫ কেজি খাদ্য অপচয় করে। সে হিসেবে বাংলাদেশে বছরে এক কোটি ৬ লাখ টন খাদ্য অপচয় হয়।

২০২১ সালে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স নামের এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ইউনেপ। প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় হয় চীনে। সেখানে বছরে খাদ্য অপচয়ের পরিমাণ ৯ কোটি ১৬ লাখ টন। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ খাদ্য অপচয় হয় বাংলাদেশে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বছরে এক কোটি ৬ লাখ টন খাদ্য অপচয় করা হয়। অর্থাৎ একজন বাংলাদেশি বছরে ৬৫ কেজি খাদ্য উপাদান কিংবা তৈরি খাদ্য নষ্ট করেন।

মূলত যে কোনো খাদ্য উৎপাদনের শুরু থেকে অর্থাৎ সেটি মাঠে শস্য উৎপাদন হোক কিংবা সবজি, ফল, মাংস, ডিম বা দুধ যাই হোক না কেন, সেটি মানুষের খাবারের প্লেটে যদি না পৌঁছায়, অথবা প্লেটে পৌঁছেও নষ্ট হয়; তবে সাধারণভাবে তাকে খাদ্য অপচয় বলা যায়। উৎপাদনের পর যদি সেটি খাওয়ার যোগ্য না হয়, মানে সেটি যদি পচে যায়, বা মানসম্পন্ন না হয়, সেটিও খাদ্য অপচয় বলে গণ্য হয়।

২০২১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের উচ্চ আয়ের পরিবারে বেশি খাদ্য অপচয় হয়। ওই গবেষণা দলের প্রধান ছিলেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, তাদের গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ আয়ের পরিবারে এক মাসে মাথাপিছু ২৬ কেজি খাদ্য অপচয় হয়। তুলনামূলক মধ্য এবং নিম্ন আয়ের পরিবারে অপচয় কম হয়।

অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশে কয়েকটি ধাপে খাদ্য অপচয় হয়। তবে ফসলের ক্ষেত থেকে খাদ্যসামগ্রী বাজারে এসে পৌঁছানোর মধ্যবর্তী পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি অপচয় হয়।

এফএও’র গবেষণায় দেখা গেছে, শস্যদানা মানে চাল, গম ও ডাল এসব উৎপাদন থেকে মানুষের প্লেট পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই প্রায় ১৮ শতাংশ অপচয় হয়। ফল আর সবজির ক্ষেত্রে অপচয় হয় ১৭ থেকে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত।

অপচয়ের কারণ হিসেবে অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, দেশে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কম, ফলে মাঠ থেকে ফসল তোলা, প্রক্রিয়াকরণ এবং মজুত, তারপর সেগুলো বাজারে পরিবহনের প্রতিটি পর্যায়েই অপচয় হয়।

অপচয় ঠেকানোর উপায় প্রসঙ্গে অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, কৃষি কাজে প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানো, সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করা, বিনিয়োগ বাড়ানো, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।

আগেভাগে পরিকল্পনা করে কেনাকাটা, রান্না, এবং পরিবেশনের কাজ করলে অপচয় কমে আসবে বলেও মনে করেন তিনি। বিবিসি বাংলা।

সর্বশেষ - প্রবাস