হেল্প অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করে নিজ দেশের মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করা, তারুণ্যের সামাজিক উৎকর্ষতা বিকাশে অনলাইনে কাজ, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচারবিমুখ প্রতিভাবান তরুণদের গল্প সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যক্রম, বিপদেআপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো; সর্বোপরি সামাজিক কাজে অসামান্য অবদানের জন্য আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে বার্ষিক এনআরবি ‘সোশ্যাল মিডিয়া স্টার’ সম্মাননা পেলেন ‘মানবিক কন্যা’ খ্যাত বাংলাদেশি-আমেরিকান প্রিসিলা নাজনীন ফাতেমা।
গত ২৯ মে স্থানীয় সময় রাত নয়টায় নিউইয়র্কের কুইন্স সেন্টারে যৌথভাবে প্রিসিলার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন আমেরিকার কুইন্স কোর্টের ক্রিমিনাল জাস্টিস কারেন গোপী ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর আবু বকর হানিপ। শোটাইম মিউজিক আয়োজিত এনআরবি-র ১২ তম এই আসরে আরো উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার বিভিন্ন স্টেট থেকে গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
মানবিক কন্যা প্রিসিলা ফাতেমার গল্পমানবিক কন্যা প্রিসিলা ফাতেমার গল্প
সম্মাননা পাওয়ার পর ইত্তেফাককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিসিলা বলেন, ‘আসলে এই সম্মাননা পুরো কৃতিত্ব আমার ফেসবুক, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের ৬০ লক্ষ অনুসারীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সাপোর্টের কারণেই আমি সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি। তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আমি চাই না কেউ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসায় কষ্ট পাক। যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন মানুষের সেবায় কাজ করে যাব; একজন মানুষ হিসেবে, একজন বাংলাদেশি হিসেবে সমাজের প্রতি এটি আমার দায়বদ্ধতা।’
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রিসিলা মাত্র ৪ বছর বয়সে বাবা-মা’য়ের সাথে পাড়ি জমান নিউইয়র্কে। ছোটকালে নাচ, গান, মডেলিং এর সাথে যুক্ত থাকলেও ২০১৭ সালে এসব ছেড়ে সামাজিক কর্মকাণ্ড ও মানবসেবায় নিজেকে জড়িয়ে নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মানবিক সব কাজকর্ম প্রশংসায় ভাসছে সবার। এই বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল তার লেখা জীবন গল্পের অনুপ্রেরণামূলক বই ‘পথ চলার গল্প’। এটি তার প্রথম গ্রন্থ। প্রিসিলা চলতি বছর ১২-তম গ্রেড সম্পন্ন করে জার্নালিজম এন্ড আইন বিষয় স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন নিউইয়র্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মাদার তেরেসা ও প্রিন্সেস ডায়নার মতো মানবতার ফেরিওয়ালাদের মতো নিজের জীবনকে সমাজ সংস্করণে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করতে চান তিনি।