সিরিয়ার সাবেক কর্নেল আনোয়ার রাসলানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জার্মানির একটি আদালত। এক দশক আগে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি জেলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জার্মানির কোবলেনজ রাজ্যের আদালত এ যুগান্তকারী রায়টি দেন। জানা গেছে, বহু বছর ধরে সিরিয়ায় যুদ্ধ চলছে। এ সময় দেশটিতে রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদ সরকারের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন অসংখ্য সিরিয় নাগরিক।
আদালত এক বিবৃতিতে জানায়, বন্দিদের হত্যা, নির্যাতন, স্বাধীনতার ক্রমবর্ধমান বঞ্চনা, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।
রাসলান সিরিয়ার রাজধানীর আল-খতিব কারাগারে ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে চার হাজার জনের বেশি বন্দির ওপর নির্যাতনের তত্ত্বাবধান করেছেন বলে যুক্তি দেন আদালতের প্রসিকিউটররা। ওই সবসময় নির্যাতনে ৫৮জন বন্দি নিহত হন।
আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া জার্মান তদন্তকারী এক কর্মকর্তা বলেন, রাসলান ১৮ বছর সিরিয়ার সিক্রেট সার্ভিসে কাজ করেছেন। যেখানে তিনি দেশীয় গোয়েন্দা ‘তদন্ত’ পরিষেবার প্রধান হয়ে উঠেছিলেন।
২০১২ সালে তিনি সিরিয়া ত্যাগ করে জার্মানি আসেন। এরপর ২০১৪ সালে সাবেক সিরিয়ান এই কর্নেল জার্মানিতে আশ্রয় চান। তবে সিরিয়ায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে রাসলানের আইনজীবীরা গত সপ্তাহে কোবলেনজ আদালত তার জামিন চান। তিনি কখনো ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নির্যাতন করেননি বলে দাবি তাদের। জার্মানির সার্বজনীন এখতিয়ার আইনের অধীনে দেশটির আদালত বিশ্বের যে কোনো স্থানে সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করতে পারেন।