দেশবরেণ্য সাংবাদিক, কলাম লেখক ও গীতিকার আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রী সেলিমা আফরোজ চৌধুরীর কবরের পাশে তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়।
বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে মরদেহ কবরস্থানে নেওয়া হয়। দাফনকালে মিরপুর-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এদিন বিকেল ৪টায় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক নেতা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা জানাজায় অংশ নেন।
সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ কৃত্তিমানের মরদেহ এসে পৌঁছে। সেখান থেকে মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়ার সময় তার অমর সৃষ্টি একুশের সেই গান, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি… সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া হয়। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শহীদ বেদীতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরাদেহ রাখা হয়। সেখানে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান শত শত মানুষ। বিশ্বজনীন বাঙালি, অমর একুশের গানের রচয়িতা, প্রবীণ সাংবাদিক, কলাম লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। সবার শ্রদ্ধার্ঘ্যে ও ভালোবাসার ফুলে ছেয়ে গেছে তার কফিন।
বিমানবন্দরে অমর একুশের গানের শব্দস্রষ্টা গাফফার চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত
এ সময় মরদেহে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জে. এস এম সালাউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কবির আহমেদ। এছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দিন নাসিম প্রমুখ। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।