ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: একজন পেশাদার চালকের মতোই অবলিলায় অটোরিকশা চালাচ্ছে শিশুটি । তার চালনা দেখে বোঝার উপায় নেই সে কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। অথচ এ বয়সে তাকে বই খাতা নিয়ে স্কুলে থাকার কথা। কিন্তু কেন বইয়ের বদলে অটো রিকশার হ্যান্ডেল হাতে নিলো এই শিশু?
সোহানের বন্ধুরা যখন স্কুলে পড়ছে, তখন সোহান রাস্তায়। যখন খেলছে তার বন্ধুরা তখনো রোদে পুড়ে রোজগারে ব্যস্ত সোহান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলা কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নারুই গ্রামের মৃত দেলোয়ার মিয়ার ছেলে এই সোহান। পিতার মৃত্যুর পর পুরো সংসারের দায়িত্ব এখন তার কাঁধে।
পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিল সোহানের বাবা। প্রতিদিন অটোরিকশা চালিয়ে যে টাকা রুজি করতেন তা দিয়ে চলত তাদের সংসার। স্বপ্ন ছিল ছেলেরা লেখাপড়া করে একদিন অনেক বড় হবে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, কিছু দিন পূর্বেই মারা যান সোহানের বাবা।
ভয়েস: স্থানীয়রা স্কুলের শিক্ষকরাও চান সোহান স্কুলে ফিরে যাক। লেখাপড়া শিখে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক অন্যদের মতো।
সোহানেরও ইচ্ছা সে লেখাপড়া করবে, খেলবে, বড় হবে আর দশটা শিশুর মতোই।
সোহানের এই স্বপ্ন পুরণ আদৌ হবে কি?