ঠাকুরগাঁওয়ে খাবারে চুল পাওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করে মাথার চুল ন্যাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী ও তার স্বজনেরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাধবপুর নওয়াপাড়ার দিনমজুর এহসান মামুন; বিয়ে করেছেন ১৩ বছর আগে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই নির্যাতন করতেন স্ত্রীকে। স্ত্রীর অভিযোগ, গত ১৭ই মার্চ খাবারে চুল পাওয়ায় বেধড়ক মারধর করে তার চুল কেটে দেয়া হয়। তারপরও সংসার করছিলেন মুখবুজে।
গত বুধবার আবারও স্ত্রীকে মারধর করেন; এমনকি চেষ্টা চালান শ্বাস রোধ করে হত্যারও। নির্যাতনের পর বের করে দেন বাড়ি থেকে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে ৭ই এপ্রিল মামলা করেন স্বামীর বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের বিষয়ে ওই গৃহবধূ বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার স্বামী আমাকে প্রায় সময় অমানবিক নির্যাতন করে। শুধু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সংসার করছি। মামুন আমার পরিবারের কাছ থেকে এর আগে ৩০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়েছে। এখন আবারও টাকা জন্য মা-বাবার কাছে বলার জন্য আমাকে চাপ দেয়। আমার বাবা অনেক গরিব। টাকা চাইতে পারব না জানালে মারধর করে আমার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়।’
অভিযুক্ত মামুনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই গৃহবধূর স্বজন ও এলাকাবাসী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মামুন জানায়, তার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়িতেই আছেন। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’