রমজানের চতুর্থ দিনেও রাজধানীর প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে। যানজটের কবলে পড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে মানুষকে। ১০ মিনিটের পথ পেরোতে ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে।
যানজটের সারি দীর্ঘ হওয়ায় ধীর গতিতে গাড়ি চলতে দেখা গেছে কোথাও কোথাও । যানজটের এই ভোগান্তিতে পড়ে রোজা আর চৈত্রের দাবদাহে যানজটে অতিষ্ঠ জনজীবন।
মিরপুর এক নম্বর থেকে বাসে শ্যামলী পৌঁছাতে সাধারণত ১০ মিনিট লাগে। সে পথ এক ঘণ্টায় পৌঁছেছেন অনেকেই।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পরিবহনের চলাচল করা যাত্রীরা জানান, রমজানের আগে আসা-যাওয়ায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগত। সদরঘাট থেকে গুলিস্তানে আসতেই অনেক সময় লাগছে। শান্তিনগর থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার পর গাড়ি যেন চলেই না। পুরো ফ্লাইওভার যানজটে স্থবির।
আজ রমজানের চতুর্থ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ছিল একই চিত্র। অফিস-আদালতের পর গত ১৬ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোদমে চালু হওয়ার পর যানজট হচ্ছে করোনাকালের আগের চেয়েও বেশি।
মিরপুরের কয়েকজন নিবাসী জানান, অন্যান্য বছর যানজটের কারণে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। করোনার ক্ষতি পোষাতে এবার তা খোলা রাখা হয়েছে। সকালে এক ঘণ্টার ব্যবধানে স্কুল-কলেজ ও অফিস খুলছে। সব ছুটিও হচ্ছে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এ কারণে সকাল ও বিকেলে রাজধানীতে গাড়ির চাপ ভয়াবহ বাড়ছে।
রোজায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা এসব স্টেশনে দুপুর থেকে গাড়ি ভিড় করছে গ্যাস নিতে। অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এতে যানবাহন দ্রুত চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এসব কারণে সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে।