হিলি প্রতিনিধি: টানা ৪দিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও আগের আমদানি করা পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে স্থানীয় পেঁয়াজের আড়ৎ গুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতা সংকটে পঁচতে শুরু করেছে এসব পেঁয়াজ। এতে করে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্খা আমদানিকারকদের।
এদিকে আড়ৎ গুলোতে পাইকারিতে ইন্দু জাতের প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা এবং নাসিকের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২-২৩ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে ইন্দু জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে। দাম কমলেও বন্দরের পাইকারী ও খুচরা বাজারে দেখা মিলছে না তেমন কোন ক্রেতা। এতে পেঁয়াজ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে আমদানিকারকরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, ২৯ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (ইমপোর্ট পারমিশন-আইপি) সরকার কতৃক বেধে দেয়ায়, বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেশি বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে ব্যবসায়ীরা। এদিকে রমযানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকার নতুন করে আইপি দিলেও লোকসানের আশঙ্খায় পেঁয়াজ আমদানি করছে না তারা। আমদানি না করলেও বন্দরের আড়ৎ গুলোতে রয়েছে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ। আর এসব পেঁয়াজের বেশির ভাগ গরমে পঁচতে শুরু করেছে।
ব্যাবসয়ীরা জানান, ভারত থেকে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এগুলো পুরাতন পেঁয়াজ। এ ছাড়া গরমে এসব পেঁয়াজ ঘেমে উঠেছে। আর বের হচ্ছে গাছ। তারা এ সব পেঁয়াজ নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।