চিত্রনায়িকা পরীমনির নিয়মিত মদপানের বিষয়টি কারো অজানা নয়। তবে গ্রেফতারের পর নতুন করে ধূমপানের বিষয়টিও সামনে এলো। এছাড়া তার বিশৃঙ্খল জীবন, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা ও পর্নোগ্রাফি- সব মিলিয়ে পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক।
চলচ্চিত্র জগতের আড়ালে পরী নাম লেখান নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায়। অঢেল টাকার নেশা তাকে টেনে নামায় অন্ধকার জগতে। অবশ্য তিনি একা নন।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার অভিনেত্রীর বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। তার ফ্ল্যাট থেকে ভয়ংকর নতুন মাদক লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড (এলএসডি), আইস ও বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে বিদেশি সিগারেটও পাওয়া যায়।
সূত্র বলছে, সিনেমা শুটিংয়ের আড়ালে পরী মূলত প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ হতেই বেশি পছন্দ করতেন। রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলে তাকে লাস্যময়ী ভঙ্গিতে দেখা যায়। প্রায় প্রতিদিনই গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি শেষে মদ্যপ অবস্থায় বের হতেন তিনি।
এছাড়া বোট ক্লাবে পরীমনির মদপান করার ভিডিও প্রকাশ এবং গুলশানের অলকমিউনিটি ক্লাবে গিয়ে মদ না পেয়ে ভাঙচুর ও কর্মচারীদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া পরী ধূমপানে অভ্যস্ত (চেইন স্মোকার)। তার ফ্ল্যাটে বিদেশি সিগারেট ও মদের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। বলা যায় ছোটখাটো বার। তার ফ্ল্যাট থেকে রাশিয়ান ভদকা, জিন, টাকিলা, হুইস্কি ও বহু মূল্যবান রেড ওয়াইন উদ্ধার করা হয়েছে।