নবীন হাসান, ঠাকুরগাঁও: চৈত্রের দাবদাহ উপেক্ষা করে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ভিড় বাড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের বজার গুলোতে। এই সুযোগে তীব্র গরমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। তাতেই কাটছাঁট করতে হচ্ছে পণ্য তালিকা। ১৫ টাকার বেগুন ৪০ টাকা, শশা কেজিতে ২০ টাকা বাড়তি। মাছ, মাংসের বাজারও চড়া।
গত সপ্তাহে যে শশা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায় বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় যে ঢেঁড়স ৪০ টাকা দারে বিক্রি হয়েছিল তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় , ১৫-২০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, কাচা মরিচ গত সপ্তাহে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। ছোলার দাম না বাড়লেও প্রতি কেজিতে ২০- ৩০ টাকা বেড়েছে মসুর ডাল, চিনিগুড়া চাল।
মাছ-মাংস খাবেন রোজাদাররা। মাছ-মাংস ও মুরগীর বাজারে ক্রেতার আনাগোনা বাড়লেও, দাম শুনে পিছু হটছেন ক্রেতারা। সব রকম মাছের দাম বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত । আর কয়েকদিন আগে থেকেই মাংস খেতে হচ্ছে সাড়ে ৬শ থেকে সাতশো টাকায়। কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা মুরগীর দামও । ভ্যাট প্রত্যাহারের পরে সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমলেও এখনো সরবরাহ কম রয়েছে।
সরবরাহও কম ও চাহিদা বাড়ায় নিত্য পন্যে দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির কঠোর নজরদারি চান ক্রেতা সাধারণ।
এদিকে পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কঠোরভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন