পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘দুর্নীতি ও অপচয় আমাকে পীড়া দেয়। টানাটানির সংসারে আমি বেড়ে উঠেছি। খুব কাছ থেকে অভাব ও অনটন গভীরভাবে দেখেছি।’
এসময় তিনি দুর্নীতি ও অপচয় নিয়ে সাংবাদিকদের বেশি বেশি প্রতিবেদন করার অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২০২২’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার রুমে দুটি টেলিভিশন কেনা। সোফা সেটও অনেক দামি। এগুলো আমাকে পীড়া দেয়। অপচয় ও দুর্নীতি নিয়ে বেশি তুলে ধরা দরকার। পাবলিক আমাদের আসল প্রভু। তথ্য প্রকাশ হলে অপচয় ও দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে অনেকে ভয় পাবেন।’
ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসে শিক্ষা সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘একজন কর্মকর্তা ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসে পাঁচদিনের শিক্ষা সফরে যাবেন। আমার কাছে অনুমতি নিতে এসেছেন। ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস কীভাবে পাঁচদিনের শিক্ষা সফর হয়। এটাও এক ধরনের অপচয়। ব্রিটিশরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতে এসব ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে।’
এম এ মান্না বলেন, ‘দরিদ্র মানুষ সে যেই হোক, স্যানিটেশন সুবিধা দিতে হবে। আমি দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি। কৃষক-মজুরদের প্রতি অবিচার হচ্ছে। সরকারের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক মুক্তি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘অপচয় ও দুর্নীতির উৎস প্রকল্পগুলো। অনেকে আমার এলাকায় মুজিব কেল্লা বানাতে চায়। নানান কারণে আমি না করেছি। প্রকল্প ম্যানেজমেন্টে ইম্প্রুভমেন্ট হতে হবে। যেন-তেন প্রকল্প নেওয়া যাবে না।’
ডিজেএফবি’র সভাপতি ইংরেজি দৈনিক দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার আরিফুর রহমান, সহ-সভাপতি যুগান্তরের হামিদ-উজ-জামান প্রমুখ।