জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই হাত পেছনে বেঁধে এবং বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে ভাতিজাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে।
এমন ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নূর ইসলামকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে চাচাসহ তিনজনকে।
জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধে ভাতিজা নূর ইসলামের দুই হাত পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রেখে নির্যাতন চালায় চাচা আলিমুদ্দিন ও তার পরিবার। এসময় নূর ইসলামের পরিবারের লোকজন চিৎকার করলেও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী আলিমদ্দিনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।
পরে খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় নূর ইসলামকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী নূর ইসলাম বলেন, নামায শেষ করার পরপরই কয়েকজন আমাকে পেছন থেকে ধরে পাশের একটি মাটির চুলায় বড় গর্ত করে সেখানে পুতে রাখে। এরপর নানা রকম নির্যাতন করা হয়।’
এদিকে বর্বরোচিত এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
নালিতাবাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির উদ্দিন আহমেদ বাদল জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে আমাদের কয়েকজন সদস্যকে পাঠানো হয়। এরপর তারা ঘটনার সত্যতা পায়। ভুক্তভোগীর স্ত্রী এজাহার দায়ের করলে আমরা মামলা নেই। ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই জমি নিয়ে আলিমুদ্দিনের সঙ্গে ভাতিজা নুর ইসলামের বিবাদ চলে আসছিলো। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।