রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত প্রেমিকা এবং তাদের সন্তানরা সুইজারল্যান্ডের একটি বিলাস বহুল বাড়িতে লুকিয়ে আছেন। চেঞ্জ ডট ওয়ারজি নামে একটি ওয়েবসাইটে আলিনাকে সুইজারল্যান্ড থেকে বহিষ্কারের দাবিতে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর গতকাল সোমবার পর্যন্ত টানা ২৬ দিনের মত চলছে রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ। এখন পর্যন্ত যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এর প্রেক্ষিতে অনলাইন ভিত্তিক ক্যাম্পেইন সাইট চেঞ্জ ডট অর্গ- এ সাবেক এক জিমন্যাস্টকে লক্ষ্য করে পিটিশন চালু হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, তিনি পুতিনের ‘প্রেমিকা’।
রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশের আবেদনকারীরা দাবি করছেন সুইজারল্যান্ড যেন এই নারীকে বহিষ্কার করে। বলা হয়েছে, পুতিনের এই ‘প্রেমিকা’ তিন সন্তানসহ দেশটির বিলাসবহুল এক ভিলায় লুকিয়ে আছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো পুতিনের সঙ্গে আলিনার নাম জড়ায়। মিডিয়া টাইকুন এবং সাবেক কেজিবি স্পাই আলেকজান্ডার লেবেদেভের মস্কো থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র এ দাবি করেছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিন তার স্ত্রী লিউডমিলাকে ডির্ভোস দেন।
রাশিয়ার ‘মোস্ট ফ্লেক্সিবল ওম্যান’ হিসেবে খ্যাত আলিনা কাবায়েভা রুশ পার্লামেন্টের একজন পুতিনপন্থি সদস্য ছিলেন। তিনি ৬ বছর ধরে পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি থেকে এমপি ছিলেন। ২০১৪ সালে একটি জাতীয় মিডিয়া গ্রুপ চালানোর জন্য বার্ষিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেতনে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে আলিনাকে নিজের প্রেমিকা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও দ্য গার্ডিয়ানের মতো বেশকিছু গণমাধ্যম তাকে পুতিনের প্রেমিকা হিসেবেই দাবি করে থাকে।
কাবায়েভাকে জনসমক্ষে খুব কমই দেখা যায়। গত বছরের ডিসেম্বরে মস্কোতে ডিভাইন গ্রেস রিদমিক জিমন্যাস্টিকস টুর্নামেন্টে নাচার সময় তিনি শেষবার ক্যামেরাবন্দী হন।
কাবায়েভা ২০০৪ সালের অলিম্পিকে রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে সোনা জিতেছিলেন।