মাংস রান্নার সময় ভুল করে লবণের বদলে রংয়ের কেমিক্যাল মিশিয়ে দেওয়ায় সেই মাংস খেয়ে একই পরিবারের নয় জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
লবণের বদলে রান্নায় ভুল করে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল কস্টিক সোডা জাতীয় ক্ষতিকারক রাসায়নিক। সেই মাংস খেয়ে একই পরিবারের নয় জন সদস্য গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। দুপুর বেলা রান্না হয়েছিল মাংস। তা খেয়েছিলেন বাড়ির বড় থেকে খুদে সদস্যরাও। সেই খাবার খেয়ে গা পাকিয়ে উঠছে বমি, সঙ্গে পেট ব্যথাও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের সকলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে রয়েছে তিন জন শিশু এবং মহিলা সহ মোট নয় জন।
সুতা রং করার কাজে ব্যবহৃত হয় কস্টিক সোডা। দেখতে অবিকল লবণের মতোই। লবণের বদলে সেই বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে রান্না হয় মাংস। সেটা খেতেই শুরু হয় বিপত্তি। হরিপুর হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তপন সরকার জানান, দুপুরে প্রতিদিনের মতোই রান্না করে প্রত্যেকেই খেয়েছিল মাংস ভাত। কিন্তু সুতা রং করার কাজে ব্যবহৃত কস্টিক সোডা, লবণ ভেবে তরকারিতে দেওয়া হয়েছে, সেটা বাড়ির লোক বুঝতে পারেনি।
দুপুরে খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় শারীরিক অসুস্থতা। সঙ্গে তীব্র বমি। এরপরেই বাড়ির সকলের নজরে আসে লবণের জায়গায় দিয়ে ফেলা হয়েছে বিষ জাতীয় কস্টিক সোডা। তারপরই সকলকে তড়িঘড়ি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি দেখে ইতিমধ্যেই তিনজনকে কল্যাণী জহওরলাল নেহরু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু জন শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। তবে ঠিক কী কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লেন সম্পূর্ণ শারীরিক চিকিৎসার পরে সেটা জানা যাবে।
গত মাসেই একই ভাবে মাংস-ভাত খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল একই পরিবারের দুই বালকের। হাসপাতালে ভর্তি হন ওই পরিবারের আরও চার সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছিল বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ির চালকের বাড়িতে। গাড়ির চালক রবি ঘোষ সপরিবারে পেটে ব্যথা ও বমি নিয়ে গতমাসে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালেই তাঁর দুই ছেলে রাহুল ঘোষ (৯) ও শুভঙ্কর ঘোষ (১২)-এর মৃত্যু হয়। আবার নদিয়ায় রাসায়নিক মেশানো মাংস খেয়ে সপরিবারে অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।