কোপা আমেরিকায় পাওয়া সাফল্যের পর টোকিও অলিম্পিকেও স্বর্ণের প্রত্যাশা আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের। কিন্তু সেই যাত্রায় প্রথম ম্যাচের শুরুটাও মোটেও ভালো হলো না আলবিসেলেস্তেদের।
সাপোরোর সাপোরো ডোমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছে নেহুয়েন পেরেজের দল। ম্যাচের ১৪ মিনিটের সময় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গোল করেছেন লাচলান ওয়েলস।
অথচ ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় সব পরিসংখ্যানেই এগিয়ে আর্জেন্টাইনরা। প্রথম ৪৫ মিনিটে ৬২ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল তারা। এমনকি গোলের জন্য করেছে ৯টি শটও। কিন্তু কোনোটিই লক্ষ্য বরাবর রাখতে পারেনি।
অন্যদিকে ১৪ মিনিটের সময় মিচেল ডিউকের এসিস্ট থেকে ডি-বক্সের বাম পাশ থেকে বাম পায়ের শটে ডান দিক দিয়ে বল জালে জড়ান ওয়েলস। যার সুবাদে লিড পেয়ে যায় সকারুরা।
বিরতিতে যাওয়ার আগে বাকি সময় ঘুরে দাঁড়ানোর বেশ কিছু চেষ্টা চালায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু তা সফল হয়নি। উল্টো অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনার ফ্রান্সিসকো ওরতেগাকে।
এক মিনিটের ব্যবধানে দুই হলুদ কার্ড দেখেছেন ওরতেগা। প্রথমে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বাজে ফাউলের কারণে হলুদ কার্ড দেখেন।
পরের মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে রিলে ম্যাকগ্রির সঙ্গে তর্কে জড়ান ওরতেগা। যে কারণে দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। কিন্তু ওরতেগার এটি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড হওয়ায় মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। অর্থাৎ দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হবে আর্জেন্টিনাকে।
আর্জেন্টিনার শুরুর একাদশ: লেডেসমা, ফুয়েন্তে, পেরেজ, মেদিনা, ওরতেগা, ভেরা, কলম্বাত্তো, ভ্যালেনজুয়েলা, অ্যালিস্টার, বারকো এবং গাইচ।
অস্ট্রেলিয়ার শুরুর একাদশ: গ্লোভার, অ্যাটকিনসন, সৌতার, ডেঙ, কিং, ম্যাকগ্রি, মেটকালফ, জেনরেও, ওয়েলস, ডিউক এবং আরজানি।