একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক বার্তা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক শোক বার্তায় বিএনপির মহাসচিব মরহুমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘তার উদ্দীপনামূলক গান জনগণের হৃদয়ে গভীর রেখাপাত এবং শ্রমিক, কৃষকসহ মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামসহ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
শোক বার্তায় বিএনপির মহাসচিব মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।
ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপগানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সী এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।
১৯৪৯ সালে ভাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন ফকির আলমগীর। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীত শিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করতেন।